সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের এক স্কুলছাত্র, এমনকী, খাস কলকাতায় এক মহিলা তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীর ফোনেও মেসেজ এসেছে। তবে মোমো আতঙ্ক উত্তরবঙ্গেই বেশি ছড়াচ্ছে। সর্বশেষ ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটায়। একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রের মোবাইলে মারণগেমের লিংক এসেছে বলে জানা গিয়েছে। পরিস্থিতি এতটাই উদ্বেগজনক যে, উত্তরবঙ্গের প্রতিটি স্কুল ও কলেজ কর্তৃপক্ষকে পড়ুয়াদের উপর নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষাদপ্তর বলে খবর। সতর্ক করা হয়েছে প্রতিটি থানাকেও।
[ স্কুল নিয়ে ‘আপত্তিকর’ ভিডিও পোস্ট, বহিষ্কৃত একাদশ শ্রেণির ৭ ছাত্র]
নীল তিমির পর এবার মোমো চ্যালেঞ্জ। ভারচুয়াল জগতে ফের মারণগেমের হানা। আতঙ্ক ছড়াচ্ছে উত্তরবঙ্গে। টার্গেট স্কুল ও কলেজ পড়ুয়ারা। অচেনা নম্বর থেকে মোবাইলে আসছে মোমো লিংক। ক্নিক করলেই সর্বনাশ! খেলাচ্ছলে আত্মহত্যায় প্ররোচনা। রবিবার অচেনা নম্বর থেকে মোবাইলে মেসেজ পেয়েছে আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা শহরের কিশোর নেহাল হোসেন। শহরের জটেশ্বর এলাকার সাহাপাড়া মোড়ে বাড়ি তার। একাদশ শ্রেণির ছাত্র নেহাল। তার দাবি, মোমো পরিচয়ে মেসেজ পাঠিয়ে নাম জানতে চাওয়া হয়। নাম বলতে রাজি না হওয়ায় দেওয়া হয় হুমকিও। বাংলা ও ইংরেজিতে চলে কথোপকথন। জানা গিয়েছে, মোমো চ্যালেঞ্জ গেম খেলতে রাজি হয়নি নেহাল। তবে থানায় অভিযোগও জানায়নি সে। এমনকী, যে নম্বর থেকে মেসেজ এসেছে, সেই নম্বরটি ব্লকও করেনি ওই স্কুল পড়ুয়া। তার ধারণা, কোনও বন্ধু কিংবা পরিচিত মজা করার জন্য ওই লিংকটি পাঠিয়েছে। এদিকে আবার মোমো আতঙ্ক ছড়িয়েছে উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ ও কোচবিহারের মাথাভাঙাতেও।
গত কয়েক দিন ধরে ছেলে যে অস্বাভাবিক আচরণ করছে, তা নজর এড়ায়নি কালিয়াগঞ্জের স্কুলপাড়ার বাসিন্দা রাজেন দাসের। তাঁর দাবি, গভীর রাতে মেসেজ করে রাজেন দাস নামে ওই কিশোরকে মোমো চ্যালেঞ্জ গেম খেলার নির্দেশ দেওয়া হয়। দু’দিন রাত জেগে মারণগেম খেলেওছে সে। বিষয়টি নজরে আসতে সতর্ক হয়ে যান পরিবারের লোকেরা। তড়িঘড়ি রাজেনের মোবাইল থেকে মোমো লিংকটি মুছে দেন তাঁরা। যদিও রবিবারও ফের তাঁর মোবাইলে মোমো লিংক এসেছে বলে অভিযোগ। মোমো গেম খেলতে শুরু করেছিলেন কোচবিহারের মাথাভাঙার যুবক খালেক রহমানও। মাথাভাঙা কলেজের ছাত্র তিনি। কিন্তু হাত কেটে মোমোর ছবি বানানোর নির্দেশ পেয়েই হুঁশ ফেরে ওই কলেজ পড়ুয়ার। খালেক নিজেই মোবাইল থেকে লিংকটি মুছে ফেলেন। ওই কলেজ পড়ুয়ার দাবি, অচেনা নম্বর থেকে তাঁকে বাড়ির ম্যাপ পাঠানো হয়েছে। ভয় পেয়ে ইন্টারনেট কানেকশন বন্ধ করে দিয়েছেন তিনি। কিন্তু, আতঙ্ক এখনও কাটেনি। পুলিশে অভিযোগ জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন খালেক রহমানের পরিবারের লোকেরা। এদিকে মোমো আতঙ্ক রুখতে উত্তরবঙ্গে স্কুল ও কলেজগুলিকে শিক্ষাদপ্তর পড়ুয়াদের উপর নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে প্রতিটি থানাকেও।
[ হাসপাতালে যাওয়ার পথে প্রসব যন্ত্রণা, হকারদের তৎপরতায় স্টেশনেই জন্মাল শিশু]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.