সুনিপা চক্রবর্তী,ঝাড়গ্রাম: প্ল্যাটফর্মে প্রস্রাব করার অপরাধে এক যুবককে পিটিয়ে স্পাইন্যাল কর্ড ভেঙে দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠল ঝাড়গ্রাম স্টেশনের আরপিএফের বিরুদ্ধে। জখম যুবকের নাম দেবদাস কুণ্ডু, বাড়ি খড়্গপুরের কৌশল্যায়৷ বর্তমানে কলকাতার পিজি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি। অভিযুক্ত আরপিএফ কর্মীদের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছে যুবকের পরিবার৷ রেল মন্ত্রকের দ্বারস্থ হওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা৷ লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করা হচ্ছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও৷
[নিজের চেম্বারে নার্সকে ধর্ষণের চেষ্টা, বাঁকুড়ায় গ্রেপ্তার নার্সিংহোমের মালিক]
ঘটনার সূত্রপাত, ২৪ জুন রাত সাতটা নাগাদ ঝাড়গ্রাম স্টেশনে। ওই দিন দেবদাস এবং তাঁর মা, কাকিমা এবং খুড়তোত ভাই-বোনরা ঝাড়গ্রাম জেলার বিনপুর থানার দহিজুড়িতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন৷ সন্ধ্যায় ফেরার জন্য খড়্গপুর স্টেশনে অপেক্ষা করছিলেন তাঁরা৷ দেবদাসের পরিবার জানায়, হঠাৎই দেবদাস কোথাও চলে যায়৷ তারপর সাতটা নাগাদ ফোন করে। কিন্তু ফোন কেটে যায়৷ তারপর দেবদাসকে ফোন করলে তাঁর ফোন বন্ধ পায় পরিবার৷ অনেক রাত হয়ে যাওয়ায় পরিবারের লোকেরা খোঁজ শুরু করলে আচমকাই ফোন আসে ঝাড়গ্রামের আরপিএফ থেকে৷ ফোনে জানানো হয়, দেবাদাস ঝাড়গ্রাম সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে ভরতি। তাঁর অবস্থা গুরুতর, বন্ধ হয়ে গিয়েছে খাওয়া, চলছে স্যালাইন ও অক্সিজেন৷ খবর পাওয়া মাত্রই সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে পৌঁছায় পরিবার৷ চিকিৎসকরা তাঁদের জানায়, স্পাইন্যাল কর্ড ভেঙে গিয়েছে দেবদাসের৷ তাঁর মুখ থেকেই পরিবারের লোকেরা সমস্ত বিষয়টি জানতে পারেন৷
[বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে একাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ প্রৌঢ়ের]
অভিযোগ কেবল মারধরই নয়, প্রায় ঘণ্টাখানেক দেবদাসকে ওই অবস্থায় লক আপেই রেখে দিয়েছিল আরপিএফ। এমনকী মুখ বন্ধ রাখতে দেওয়া হয় হুমকি৷ ঘটনায় ইতিমধ্যেই আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেবাদাসের পরিবার৷ যদিও এই বিষয়ে মুখ খুলতে চায়নি আরপিএফ৷ প্রতিক্রিয়া নেওয়ার জন্য ঝাড়গ্রাম আরপিএফের অফিসারকে ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। এবং ঝাড়গ্রাম স্টেশন সংলগ্ন আরপিএফ অফিসের অন্যান্যরা এই বিষয়ে বিশেষ কোনও কথা বলতে চাননি৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.