Advertisement
Advertisement

Breaking News

Diamond Harbour

স্বাধীনতার আগে যাত্রা শুরু, আজও গান্ধীজির স্মৃতি নিয়ে দাঁড়িয়ে ডায়মন্ড হারবারের খাদি মন্দির

এই প্রতিষ্ঠানকে বাঁচিয়ে রাখা হোক চাইছেন বহু মানুষ।

Khadi Mandir at Diamond Harbour running with Gandhiji's memory | Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:June 11, 2023 4:11 pm
  • Updated:June 11, 2023 8:07 pm  

সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: স্বাধীনতারও আগে পথচলা শুরু। সত্য়াগ্রহ আন্দোলনের সময় স্বাধীনতা সংগ্রামী চারুচন্দ্র ভান্ডারির হাত ধরে তৈরি হয়েছিল ডায়মন্ড হারবার খাদি মন্দির। একসময় রমরমিয়ে চলেছে সেই প্রতিষ্ঠান। বিক্রি হয়েছে খদ্দরের পোশাক। সেখানে আনাগোনা ছিল বহু স্বাধীনতা সংগ্রামীর। এরপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে। কালের অতল গর্ভে হারিয়ে গিয়েছে সেই খাদি মন্দির। তবে সেই স্মৃতিটুকু মুছে যায়নি। পুরনো ঐতিহ্যকে বুকে নিয়ে এখনও টিমটিম করে জ্বলছে ডায়মন্ড হারবারের বর্তমান খাদি মন্দির।

চারুবাবুর হাত ধরেই হটুগঞ্জ, ডায়মন্ড হারবার, কুলপি, করঞ্জলি, কাকদ্বীপ, ফলতা, সোনারপুর-সহ সুন্দরবনের বিভিন্ন জায়গায় গড়ে উঠেছিল খাদিমন্দিরের চরকা কেন্দ্রগুলি। মহারাষ্ট্র থেকে তুলো এনে হটুগঞ্জের খাদিমন্দিরে চরকায় কাটা হত সুতো। সেই সুতো চলে যেত অবিভক্ত মেদিনীপুরের ইক্ষুপত্রিকা গ্রামে। চরকায় কাটা সুতোয় সেখানে প্রস্তুত হত দেশীয় খদ্দরের কাপড়জামা। বিক্রি হত সুন্দরবনের গ্রামে-গ্রামে। বিক্রির স্থান হিসেবে ডায়মন্ড হারবারের নুনগোলায় তৈরি হয়েছিল ‘খাদিমন্দির’ নামে দোকান। অগ্নিযুগের বহু বিপ্লবী এসে বসতেন খাদি মন্দিরে। আলোচনা চলতো সংগ্রামের নানা বিষয় নিয়ে। এসেছেন খোদ মহাত্মা গান্ধী, বিনোদা ভাবেরাও। দীর্ঘদিন এখানে থেকেছেন বিনোদা ভাবে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: অভিষেকের কর্মসূচির আগে সন্দেশখালির তৃণমূল কার্যালয়ে আগুন, কাঠগড়ায় বিজেপি-সিপিএম]

হটুগঞ্জের ‘খাদিমন্দির আশ্রম’ কালের গর্ভে হারিয়েছে অনেকদিন আগেই। নুনগোলায় প্রতিষ্ঠিত ‘খাদিমন্দির’ও আর নেই। স্থানবদল করে দোকানটি একসময় উঠে আসে ডায়মন্ডহারবার-কাকদ্বীপ সড়কের পাশেই। দু’টি ঘর নিয়ে চলে খদ্দরের কাপড়জামা ও ঘি- মধুর বিক্রিবাটা। সেই দোকানটিও আজ একটু একটু করে হারিয়ে যেতে বসেছে।
দোকানের পরিচালক গুণধর মণ্ডল জানিয়েছেন, এখানে আর চরকায় সুতো কাটা বা কাপড় বোনা হয় না। কাঁথি থেকে আনানো হয় বোনা পোশাক। একসময় এই দোকানের নিয়মিত খদ্দের ছিলেন শংকর ঘরামি। কিন্তু এখন আর তিনি নিয়মিত আসেন না। কারণ দোকানটিতে চাহিদামতো পোশাক মেলে না। নিয়মিত খোলাও হয় না দোকানটা।

তবে এই প্রতিষ্ঠানকে বাঁচিয়ে রাখা হোক চাইছেন বহু মানুষ। তবেই পুরনো ঐতিহ্যকে ধরে রাখা সম্ভব হবে। গান্ধীজির ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।

 

[আরও পড়ুন: স্টারবাকসে বসেই সেখানকার খাবার অনলাইনে অর্ডার! অর্ধেক দামে কফি খেলেন যুবক]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement