সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বামীর ‘নিরাপত্তাহীনতায়’ হাত খোয়া গিয়েছে সদ্য চাকরি পাওয়া কেতুগ্রামের নার্সের। কী হবে তাঁর? আদৌ চাকরিতে যোগ দিতে পারবেন তিনি? স্বাস্থ্যভবনের তরফে জানানো হয়েছে, মহিলার যাতে চাকরি পেতে কোনও রকম অসুবিধা না হয়, তা দেখা হবে। ওই নার্সের পাশে দাঁড়িয়েছে নার্স সংগঠনও। এদিকে চাকরি যেন না যায়, সেই আবেদনের পাশাপাশি স্বামীর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন আক্রান্ত রেখা।
কেতুগ্রামের (Ketugram) কোজলসা গ্রামে শ্বশুরবাড়ি রেণু খাতুন নামে ওই নার্সের। তাঁর বাপেরবাড়ি কেতুগ্রামের চিনিসপুর গ্রামে। চিনিসপুর গ্রামের বাসিন্দা আজিজুল হকের পাঁচ মেয়ে ও তিন ছেলে। ছোট মেয়ে রেণু। ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে কোজলসা গ্রামের বাসিন্দা সিরাজ শেখের একমাত্র ছেলে শের মহম্মদ শেখ ওরফে শরিফুলের সঙ্গে রেণুর বিয়ে হয়। রেণু নিজে নার্সিংয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নার্স পদে চাকরি করছিলেন। এরপর সরকারি চাকরিতে পরীক্ষা দিয়ে তিনি উত্তীর্ণ হন। কয়েকদিন আগেই চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষায় তিনি উত্তীর্ণ হয়ে প্যানেলভুক্ত হয়ে যান। শুধু চাকরিতে যোগ দেওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন।
আর তাতে সমস্যা। চাকরি পেলে যদি স্ত্রী দূরে সরিয়ে দেয় সেই আশঙ্কায় ভুগছিল স্বামী শরিফুল। রাত এগারোটা নাগাদ রেণু যখন শুয়ে পড়েছিলেন সে সময় দুই বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে রেণুর ওপর চড়াও হয় ওই যুবক। ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ মারে। রেণুর ডান হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বর্তমানে হাসপাতালে ভরতি বধূ। সকলের মনে একটাই প্রশ্ন, বর্তমানে একটি হাত নেই তাঁর। তাহলে কি নার্সের চাকরিতে যোগ দিতে পারবেন তিনি? স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, মহিলার চাকরি পেতে যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী জানিয়েছেন, তরুণী কাজ করতে কতটা সক্ষম তা দেখে নেওয়া হবে।
এই ঘটনায় নার্স সংগঠনের দাবি, অবিলম্বে অভিযুক্তকে কঠোর শাস্তি দিতে হবে। আক্রান্ত নার্সকে সরকারের উদ্যোগে নকল হাতের ব্যবস্থা করে দিতে হবে, যাতে তিনি স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারেন। পাশাপাশি, নার্সিং অফিসার যেহেতু সরকারি চাকরিরত তাই তাঁকে উপযুক্ত কোনও সরকারি কাজে যুক্ত করার দাবিও জানানো হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.