Advertisement
Advertisement

স্কলারশিপের সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার প্রতারণা, কেরল পুলিশের জালে চোপড়ার স্কুলকর্মী

প্রতারণার ধরন জানলে চোখ কপালে উঠবে।

Kerala Police nabbed Bengal School staff

ছবি: প্রতীকী

Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:December 27, 2018 9:29 am
  • Updated:December 27, 2018 9:30 am  

শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: স্কলারশিপের টাকা পাইয়ে দেওয়া হবে। ওয়েবসাইট মারফত কেরলের সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীদের এমন টোপ দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে কেরল পুলিশের জালে পড়ল পশ্চিমবঙ্গের এক স্কুলকর্মী। ধৃত বাবুল হোসেন উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার কোটগঞ্জ হাই স্কুলে কম্পিউটার বিভাগের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর। জানা গিয়েছে, দিন ১৫ আগে কেরলের শিক্ষা দপ্তরের ডিরেক্টর এমএস জায়া ত্রিবান্দ্রম থানায় বাবলু হোসেনের বিরুদ্ধে সাইবার ক্রাইম সংক্রান্ত একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর কেরল পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগের প্রতিনিধিরা চোপড়ায় পৌঁছন। গত পাঁচদিন ধরে চোপড়ার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। শেষপর্যন্ত স্থানীয় পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে মঙ্গলবার রাতে বাবুল হোসেনকে কোটগঞ্জের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে কেরল পুলিশ।

[গুগল ম্যাপ দেখে নিখোঁজ বৃদ্ধকে ঘরে ফেরানোর ব্যবস্থা করলেন তিন পড়ুয়া]

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭ অক্টোবর থেকে ২০১৮ নভেম্বর পর্যন্ত কেরলের দশটি কলেজের সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীদের (পোস্টম্যাট্রিক) স্কলারশিপ খাতের বরাদ্দ টাকা কেন্দ্রীয় সরকারের ওয়েবসাইট হ্যাক করে হাতিয়ে নেয় চোপড়ার ওই যুবক। কেরলের বিভিন্ন কলেজের সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীদের নাম ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর ডিটেল হ্যাকিং করে নিজের অ্যাকাউন্টে জমা করত। তারপর বরাদ্দকৃত বিভিন্ন শাখার স্কলারশিপের টাকা তুলে নেওয়া হত বলে বাবুল হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ। এরপর যখন কেরলের ওই ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের স্কলারশিপের টাকা ব্যাংকে তুলতে যান, জানতে পারেন সেই টাকা আগেই তোলা হয়ে গিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কেরলের ওই প্রতারিত ছাত্রছাত্রীরা অভিযোগ করেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষা দপ্তরে। বিষয়টি নজরে আসে কেরল শিক্ষা দপ্তরের ডিরেক্টরের। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে কেরল পুলিশ। পড়ুয়াদের বিভিন্ন পর্যায়ের স্কলারশিপের টাকার পরিমাণ বছরে দশ হাজার টাকা। এই প্রতারণার কাজে কেরলের তিন কলেজ ছাত্রকে যুক্ত করে অভিযুক্ত বাবুল। সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের স্কলারশিপের টাকা তুলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই তিন ছাত্র পড়ুয়াদের নাম, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করত। পরে তা চোপড়ার ওই অভিযুক্তকে পাঠানো হত। এজন্য পাঁচটি মোবাইল ফোন ব্যবহার করা হত। আর নাম সংগ্রহ হওয়ার পরই ফোনের সিম পালটে দিত অভিযুক্ত। যাতে পরবর্তীতে প্রতারিত পড়ুয়ারা আর ফোনে যোগাযোগ করতে না পারেন। ধৃত ওই স্কুলশিক্ষা কর্মী এলাকায় নিজেকে শিক্ষক হিসাবে পরিচয় দিতেন। এদিন ধৃতকে সাত দিনের ট্রানজিট রিমান্ডে নেওয়ার জন্য কেরল পুলিশকে অনুমতি দিয়েছে ইসলামপুর মহকুমা আদালত।

[দিনহাটায় যুব তৃণমূলের সভামঞ্চে আগুন, এলাকায় বোমাবাজি]

উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার সুমিত কুমার বলেন, “প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বাবুল হোসেনের বিরুদ্ধে। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য ছয়দিন আগেই কেরল পুলিশ চোপড়া পৌঁছে যায়।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement