ধীমান রায়, কাটোয়া: জানুয়ারি পর্যন্ত প্রায় ১২ লক্ষ টাকার বিল বকেয়া। ফ্রেরুয়ারি মাসে হিসেব ধরলে, টাকা অঙ্ক দাঁড়াবে ২৫ লক্ষ। বিএসএনএল দপ্তরের বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দিল রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টনকারী সংস্থা। আর তাই নিয়ে ধুন্ধুমার বর্ধমানের কাটোয়ায়। বচসা ও হাতাহাতি জড়িয়ে পড়লেন কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারি দপ্তরের কর্মীরা। এদিকে, বিএসএনএল দপ্তরের বিদ্যুৎ না থাকায় কাটোয়া শহরে জুড়ে বিপর্যস্ত টেলিফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবা। নাকাল সাধারণ মানুষ।
[বাসন্তী পুজোর বোধনের দিন কাঁথিতে বিজেপির অস্ত্র মিছিলে হাঙ্গামা, দেখুন ভিডিও]
কলকাতা ও শহরতলি এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে বেসরকারি সংস্থা সিইএসসি। উন্নত পরিষেবার বিনিময়ে চড়া দাম দিতে হয় গ্রাহকদের। বিল আসে মাসে মাসে। কিন্তু, রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টনকারী সংস্থা অধীনস্থ এলাকায় বিদ্যুৎ অনেক সস্তা। প্রতি মাসে গ্রাহককে বিলও মেটাতে হয় না। তিন মাস অন্তর গ্রাহকদের বিদ্যুতের বিল পাঠায় রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টনকারী সংস্থা। অভিযোগ, সেই বিল মেটায়নি কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা বিএসএনএল। বাড়তে বাড়তে বকেয়া বিলের পরিমাণ প্রায় ১২ লক্ষ টাকার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। শুক্রবার কাটোয়ায় বিএসএনএল দপ্তরের বিদ্যু সংযোগ কেটে দিয়েছে রাজ্য বণ্টনকারী সংস্থা। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে গেল বর্ধমানে জেলার এই মহকুমা শহরে। হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লেন রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টনকারী সংস্থা ও বিএসএনএল কর্মীরা। বিপর্যস্ত টেলিফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবা।
[স্থায়ী হল না দাম্পত্য, অহনার অভিযোগে বধূ নির্যাতনের মামলা সিউড়ি আদালতে]
কাটোয়া শহরের টেলিফোন ময়দানে বিএসএনএলের আঞ্চলিক দপ্তর। এই দপ্তর থেকে কাটোয়া শহর-সহ গোটা মহকুমায় টেলিফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবা পান গ্রাহকরা। রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টনকারী সংস্থার কাটোয়া ডিভিশনাল ম্যানেজার রথীন বিশ্বাস জানিয়েছেন, জানুয়ারি পর্যন্ত কাটোয়া বিএসএনএল দপ্তরের প্রায় ১২ লক্ষ টাকার বিদ্যুৎ বিল বাকি পড়েছে। ফ্রেরুয়ারির হিসেব ধরলে, বকেয়া বিলের পরিমাণ ২৫ লক্ষ টাকা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টেলিফোন ময়দানে বিএসএনএল দপ্তরের বিদ্যুৎ কাটতে গিয়েছিলেন স্টেট ইলেকট্রিসিটি বোর্ডের কর্মীরা। কিন্তু, তখন অফিস বন্ধ ছিল। তাই ইলেকট্রিক পোল থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী লাইন কেটে দেওয়া হয়। নিয়ম অনুসারে, বিদ্যুতের লাইন কাটার আগে সংশ্লিষ্ট সংস্থা বা ব্যক্তির সর্বশেষ মিটার রিডিং দেখে নিতে হয়। কিন্তু, বিএসএনএল অফিস বন্ধ থাকায় সে সুযোগ পাননি বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা। শুক্রবার সকালে যখন নিয়ম মেনে ফের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে যান, তখনই গন্ডগোল শুরু হয়। অভিযোগ, বিদ্যুকর্মীদের একটি ঘরে বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিএসএনএল কর্মীরা। এই নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল বচসা শুরু হয়। হাতাহাতি জড়িয়ে পড়েন কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারি দপ্তরের কর্মীরা। শেষপর্যন্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কাটোয়ার বিএসএনএল দপ্তরের কর্মীদের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর করেছে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টনকারী সংস্থা। এদিকে, বিদ্যুতের অভাবে বেলা ১২ টা থেকে কাটোয়ায় বন্ধ বিএসএনএলের টেলিফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবা। কাজকর্ম শিকেয় উঠেছে ব্যাংক, পোস্ট অফিস-সহ অন্যন্য সরকারি দপ্তরে। সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরমে।
[কর্মসূত্রে মা বাইরে, ছাত্রীকে হাওড়া স্টেশনে ফেলে পালাল মামা-মামি]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.