ছবি: জয়ন্ত দাস
ধীমান রায়, কাটোয়া: আইসক্রিম কারখানায় চুরি করতে ঢুকে পড়েছিল একদল দুষ্কৃতী৷ কারখানার বড় বড় যন্ত্রপাতি তো আর না খুলে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়৷ সেই যন্ত্রপাতি খোলার সময়ই বেছে বেছে দামি আইসক্রিম খেয়ে গেল সিঁধেল চোর৷ চোরেদের কারসাজিতে শোরগোল পড়েছে গুসকরা পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার আলুটিয়ায়৷
আইসক্রিম কারখানাটি গুসকরা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান চাঁদনিহারা মুন্সির স্বামীর। প্রতিদিনই সন্ধ্যার আগেই আইসক্রিম কারখানায় কাজ শেষ করে মেশিন চালিয়ে গেট বন্ধ করে চলে যান কর্মচারীরা। বুধবার সকালে কারখানার দরজা খোলেন সুভাষ মেটে নামে এক কর্মী৷ কারখানার দরজা খোলার পরই ওই কারখানার কর্মীর চুরির ঘটনাটি প্রথম নজরে আসে৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি দরজা খোলার পরই দেখতে পাই পিছন দিকের দেওয়াল থেকে আলো আসছে। কাছে গিয়ে দেখি সিঁধ কাটা। তারপর দেখি মেশিনের দামি কয়েল, পাম্প মেশিন সব চুরি হয়ে গিয়েছে। সুভাষের দাবি, শুধু চুরিই নয়, কারখানায় যেগুলি দামি কাপ আইসক্রিম ছিল সেগুলিও খেয়ে পালিয়ে গিয়েছে চোরেরা।
চুরির ঘটনায় বেজায় ক্ষুব্ধ ভাইস চেয়ারম্যান চাঁদনিহারা মুন্সি। তাঁর স্বামী জিয়াউলের অভিযোগ, গুসকরায় একের পর এক দু:সাহসিক চুরির ঘটনা ঘটছে৷ পুরসভা থেকে শহর জুড়ে রাস্তায় সিসিটিভি বসানো হয়েছে। তারপরেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। তিনি আরও বলেন, ‘‘রোজ সন্ধ্যার মধ্যে আইসক্রিমের মিশ্রণ তৈরি করে ঠান্ডা করার মেশিনে ভরে দেওয়া হয়। তারপর কারখানার কর্মী মেশিন চালিয়ে দরজা বন্ধ করে চলে যান। যেহেতু কারখানা আমাদের বাড়ির একেবারে কাছেই তাই রাতে কারখানায় কোনও পাহারাদারেরও প্রয়োজন হয় না।
ভাইস চেয়ারম্যানের স্বামী জিয়াউল হক মুন্সি বুধবার গুসকরা পুলিশ ফাঁড়িতে চুরির ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ পাওয়ার পর গুসকরা ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ঘটনাস্থলে যান ডিএসপি (ডিএনটি) মীর সাকির আলি। পুলিশ আধিকারিকরা ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন। তবে এখনও পর্যন্ত ঘটনার কিনারা করতে পারেনি পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.