ধীমান রায়, কাটোয়া: স্কুলে মাথায় গুলি করে আত্মঘাতী দশম শ্রেণির ছাত্র। শৌচাগার থেকে রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মৃতদেহের পাশ থেকে পাওয়া গিয়েছে একটি সেভেন এম এম পিস্তল। চাঞ্চল্য পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, প্রেমঘটিত কারণেই আত্মহত্যা করেছেন ওই ছাত্র। এমনকী, সে যখন মাথায় গুলি করে, তখন তার প্রেমিকা সেখানে ছিল বলে শোনা যাচ্ছে। কিন্তু, কোথায় থেকে পিস্তল পেল ওই স্কুল পড়ুয়া? তদন্তে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ। এদিকে মুখে কুলুপ এঁটেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।
[বাড়িতে ডেকে গৃহশিক্ষিকাকে ধর্ষণের চেষ্টা ছাত্রীর বাবার!]
পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে দধিয়া গোপালদাস উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র কলিন শেখ। রোজকারের মতোই মঙ্গলবারও স্কুলে এসেছিল সে। প্রধানশিক্ষক বিশ্বনাথ ঘোষ জানিয়েছেন, সকালে যখন স্কুলে অন্য পড়ুয়ারা প্রার্থনা করছিল, তখন কলিনকে সেখানে ছিল না। প্রার্থনা শেষ হওয়ার পরই স্কুলের শৌচাগার থেকে গুলির শব্দ শোনা যায়। আতঙ্কে ছোটাছুটি করতে শুরু করে পড়ুয়ারা। স্কুলের শৌচাগারের দিকে ছুটে যান স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা। তাঁরা দেখেন, শৌচাগারে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে দশম শ্রেণির ছাত্র কলিন শেখ। পাশে একটি একটি সেভেন এম এম পিস্তল। এদিকে আতঙ্কে ততক্ষণে ব্যাগপত্তর নিয়ে স্কুলে থেকে পালিয়েছে বেশিরভাগ পড়ুয়ারাই। যারা স্কুলে ছিল, তাদেরও বাড়ি চলে যেতে বলেন শিক্ষকরা। দধিয়া গোপালদাস উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে কলিন শেখের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিয়মমাফিক মৃতদেহটি পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে।
জানা গিয়েছে, কেতুগ্রামে রতনপুর গ্রামে মা ও বোনের সঙ্গে থাকত কলিন। তার বাবা সেলিম শেখ ভিনরাজ্যে শ্রমিকের কাজ করেন। কিন্তু, কেন আত্মহত্যা করল দশম শ্রেণির ওই ছাত্র? শোনা যাচ্ছে, দধিয়া গোপালদাস উচ্চ বিদ্যালয়েরই এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল কলিন শেখের। এমনকী, মঙ্গলবার সকালে যখন স্কুলের শৌচাগারে ঢোকে ওই কিশোর, তখন আশেপাশেই ছিল তার প্রেমিকাও। মৃতের কয়েকজন সহপাঠী জানিয়েছে, ক্লাসে শেষ বেঞ্চে বসত কলিন। সেই বেঞ্চে প্রেমিকা ও তার নামের আদ্যাক্ষরটি তদন্তকারীদের নজরে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে।
ছবি: জয়ন্ত দাস
[ছাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় স্কুল চত্বরে ধুন্ধুমার, মাথা ফাটল অভিভাবকের ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.