ধীমান রায়, কাটোয়া: ভাগীরথী নদীর তীরে শান্ত পরিবেশের মধ্যে বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ের ভিতরে হরেক রকমের গাছ। রয়েছে ফুলের বাগানও। গাছগুলির ডালপালায় প্রায়শই উড়ে এসে বসে নানা ধরনের পাখি। গ্রাম বাংলার পরিচিত পাখিগুলির কলকাকলি মিশে যায় পড়ুয়াদের কলরবের সঙ্গে। মাঝেমধ্যে এই দুয়ে মিলে তৈরি হয় এক বিচিত্র কোরাস। কাটোয়ার ভারতী ভবন উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মনোরম পরিবেশ অনেককেই মুগ্ধ করে। স্কুলের মধ্যে মনোরম পরিবেশ ধরে রাখতে অভিনব উদ্যোগ নিলেন শিক্ষক শিক্ষিকারা। তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করছে স্কুলের ছাত্ররাও। পাখিদের বাসা বাঁধার সুবিধার জন্য স্কুলের গাছে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে বাঁশের ঝুড়ি। রেখে দেওয়া হচ্ছে মাটির ছোট হাঁড়ি। যাতে স্কুলের গাছগুলি পাখিদের নিরাপদ আশ্রয় হয়ে ওঠে।
কাটোয়ার ভারতীভবন স্কুলটি একেবারেই ভাগীরথী নদী লাগোয়া। স্কুলের চত্বর জুড়ে রয়েছে হরেক রকমের গাছ। মেহগনি, কৃষ্ণচূড়া, ছাতিম, রাধাচূড়া, বকুল প্রভৃতি গাছ। বসন্তকালে স্কুল চত্বর রাঙা হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে স্কুলের ভিতরে নানা ধরনের ফুলের গাছ লাগিয়ে বাগান করা হয়েছে। লাগানো হয়েছে নানা ভেষজ উদ্ভিদও। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, জীবন বিজ্ঞানের শিক্ষক সুনীলবাবু এক অভিনব পরিকল্পনা নিয়েছেন। স্কুল চত্বরের গাছগুলিতে পাখিদের বাসা বাঁধার সুবিধার্থে ঝুড়ি ও মাটির হাঁড়ি ঝুলিয়েছেন তিনি। শিক্ষকের অভিনব উদ্যোগে শামিল পড়ুয়ারাও। ফলস্বরূপ কাটোয়ার ভারতীভবন স্কুলে গড়ে তুলেছেন পাখিদের নিরাপদ আশ্রয়। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তরুণ রায় বলেন, “আমরা সবসময় চাই পড়ুয়াদের সঙ্গে প্রকৃতির নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠুক। কারণ প্রকৃতি থেকেই মানুষ খাঁটি শিক্ষা অর্জন করে। সেই সঙ্গে প্রকৃতিকে রক্ষা করার দায়িত্বও আমাদের সবার। তাই এই ভাবনা থেকেই স্কুলের সকলে মিলে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”
[ লম্বা ইনিংস খেলবে শীত, পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.