ধীমান রায়, কাটোয়া: বিবাহিত জীবনের শারীরিক সুখ নেই। পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছিলেন এক মহিলা। তাঁকে খুন করে আত্মঘাতী হলেন স্বামী। বুধবার সকালে ঘরের দরজা ভেঙে ওই দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে।
[কিশোরের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ভয়াবহ ডাকাতি, লুট ৬ লক্ষ টাকার সামগ্রী]
কেতুগ্রামের নবগ্রামে বাসিন্দা সন্তোষ পান। ভিনরাজ্যে গয়না তৈরির কাজ করতেন। কয়েক মাসে আগে গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসেন সন্তোষ। দেখাশোনা করে ছেলের বিয়ে দিয়েছিলেন পরিবারের লোকেরা। সন্তোষের স্ত্রী টুসুর বাপের বাড়ি নানুরের রুইপুরে গ্রামে। কিন্তু দাম্পত্য জীবনে সুখী ছিলেন না সন্তোষ ও টুসু। সন্তোষের মা সনকাদেবী বলেন, ‘বিয়ের পর থেকেই ছেলের সঙ্গে বউমার একেবারেই বনিবনা হত না। একই ঘরে দু’জন থাকত। তবে বউমা ঘাটে শুত। আর সন্তোষ মাটিতে। ‘ সন্তোষ পানের দাদা কাজের সুবাদে কলকাতায় থাকেন। তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে থাকেন গ্রামের বাড়িতে। বুধবার মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়ি গিয়েছিলেন তিনি। রাতে যথারীতি খাওয়াদাওয়ার পর নিজেদের ঘরে চলে গিয়েছিলেন সন্তোষ ও তাঁর স্ত্রী টুসু। পরিবারের লোকেদের দাবি, বৃহস্পতিবার সকালে বহু ডাকাডাকি করেও তাঁদের কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। শেষপর্যন্ত দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকেন প্রতিবেশীরা। তাঁরা দেখেন, বিছানার রক্তাক্ত অবস্থা পড়ে টুসুর দেহ। আর ফ্যান থেকে ঝুলছেন সন্তোষ। ঘটনা জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে নবগ্রাম এলাকায়। মৃতদেহটি উদ্ধার করে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, টুসুর শরীরের একাধিক জায়গায় ধারালো অস্ত্রের ক্ষত ছিল। ব্লেড কাটার দাগ ছিল সন্তোষের হাতেও। সম্ভবত স্ত্রীকে খুন করেই আত্মহত্যা করেছেন ওই যুবক।
মাত্র দু’মাস আগে বিয়ে হয়েছিল। কী এমন ঘটল যে, স্ত্রীকে খুন করে আত্মহত্যা করলেন সন্তোষ? শোনা যাচ্ছে, স্বামীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে তৃপ্তি পেতেন না টুসিদেবী। অন্য একজনের সঙ্গে বিবাহ-বর্হিভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। প্রায়ই দু’জনের ফোনেও কথা বলতেন। ঘটনাটি নজরে পড়েছিল সন্তোষের। বুধবার বিকেল পর্যন্ত অবশ্য থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে জানিয়েছেন র্ব বর্ধমানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) রাজনারায়াণ মুখোপাধ্যায়।
ছবি: জয়ন্ত দাস
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.