ধীমান রায়, কাটোয়া: কাঠের ঢাকের ভার বহন করার ক্ষমতা অনেকের থাকে না। তাই এবার পুজোর মরসুমে বাজার মাতাবে টিনের ঢাক। তবে টিনের পাতকে বাগ মানিয়ে ডাকের আদল দেওয়া যে সে মিস্ত্রির কর্ম নয়। কাটোয়ার মাধবীতলার টিনের ঢাক তৈরির কারিগর উত্তম দাসের তাই কদর কম নয়। পূর্ব বর্ধমান জেলা তো বটেই, ভিন জেলাতেও নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কাটোয়ার উত্তম দাসের তৈরি টিনের ঢাক৷ পুজোর মুখে উত্তম দাসের হাতে তৈরি টিনের ঢাকের চাহিদা এখন তুঙ্গে। আট-দশজন কারিগর রেখে কাজ করাচ্ছেন তিনি৷ দম ফেলার ফুরসত নেই তাঁর৷
কাটোয়ার মাধবীতলায় একটি ছোট কারখানা রয়েছে বছর ৫৩-র উত্তম দসের৷ টিনের ড্রাম, দুনি, অ্যালুমিনিয়ামের নানান জিনিসপত্র তৈরি করেন। আট-দশজন কারিগর রয়েছেন। তবে, টিনের পাত দিয়ে ঢাক তৈরি করার জন্যই এই কারিগরদের রেখেছেন উত্তমবাবু। তিনি তাঁদের হাতেকলমে কাজ শিখিয়েছেন। উত্তমবাবু জানান, এই ঢাক তৈরির পিছনে রয়েছে এক বিশাল কাহিনী। তিনি জানান, ২০০০ সাল নাগাদ বিশ্বকর্মা পুজোর দিন কাটোয়ার পাশে একটি গ্রাম থেকে শহরে ঢাক বাজাতে এসেছিলেন এক ঢাকি। বয়স্ক মানুষ। তিনি কথাচ্ছলে বলেছিলেন, কাঠের বদলে যদি পাত দিয়ে ঢাক হত তাহলে বহন করতে এত কষ্ট হত না। ওই কথাটি মনে ধরে যায় উত্তম দাসের।
[আদর্শ জলাঞ্জলি দিয়ে আমডাঙায় পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনে বাম-রাম জোট]
তিনি বলেন, “তারপর টিনের পাত দিয়ে ঢাকের আদল দেওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু কিছুতেই আদলটা আসছিল না। অনেক চেষ্টার পরে সফল হই।” উত্তমের দাবি, “এই জেলায় তো বটেই, রাজ্যের কোথাও এই টিনের ঢাক তৈরি হয় বলে আমার জানা নেই।” উত্তমবাবু জানিয়েছেন হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া, বীরভূম, নদিয়া প্রভৃতি জেলা থেকে ঢাকিরা টিনের ঢাক কিনতে আসেন। সাইজ অনুযায়ী দাম। শুধু খোলটি ৭০০-৮৫০ টাকায় বিক্রি হয়। ফিনিশিং দেওয়া ঢাক ১৩০০-১৫০০ টাকায় বিক্রি হয়।
[হিন্দুত্ববাদী শিবিরে ভাঙন, তৃণমূলে যোগ বজরং দল-ভিএইচপির নেতা কর্মীদের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.