হাসপাতালে আহতরা, ছবি: জয়ন্ত দাস।
ধীমান রায়, কাটোয়া: মনসাপুজোয় নাচানাচির সময় যুবতীর সঙ্গে অশালীন আচরণের অভিযোগ উঠল এক বেপাড়ার যুবকের বিরুদ্ধে। আর তারই জেরে হল বোমাবাজি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোষ্ঠী সংঘর্ষে জড়িয়েও পড়ল পার্শ্ববর্তী দুই পাড়ার বাসিন্দারা। পুলিশ এসে দুই গোষ্ঠীকে আলাদা করে দেয়। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ টহল চলছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলকোটের বকুলিয়া গ্রামে।
অভিযোগ, নাচের সময় বাগদি পাড়ার যুবতীর সঙ্গে অশালীন আচরণ করে বাগান পাড়ার যুবক। এনিয়েই মারমুখী দুই পাড়ার লোকের মধ্যে বচসা শুরু হয়। বাগানপাড়ার যুবকটিকে বেধড়ক মারধর করে বাগদিপাড়ার উত্তেজিত জনতা। দু’পক্ষের মধ্যে বোমাবাজিও চলে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দু’পক্ষকে হটিয়ে দেয় পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
একই অবস্থা ঘটেছে কাটোয়ার গিধগ্রামেও। পছন্দের গান বাজানোকে কেন্দ্র করে মনসাপুজোর নাচানাচিতে হাতাহাতি, বচসা। এর জেরে ভাঙচুর ও বোমাবাজির ঘটনা ঘটল। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রায় ১০ জন বাসিন্দা। আহতদের চারজনের আঘাত গুরুতর। তাঁদের কাটোয়া মহকুমা হাসাপাতালে ভরতি করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, গিধগ্রামে দু’দিন ধরে ধুমধাম করে মনসা পুজো চলছিল। শনিবার ছিল বাসিপুজো। স্থানীয় দক্ষিণ বাগদি পাড়ায় মাইক ও বক্স বেঁধে নাচানাচিও শুরু হয়। ঘটনার সূত্রপাত দুপুর দেড়টা নাগাদ। স্থানীয় যুবক রতন বাগদি মদ্যপ অবস্থায় গিয়ে বক্স বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ। তারপর নিজের পছন্দের গান বাজানোর দাবি তোলে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত বেশ কয়েকজন ক্ষিপ্ত হয়ে রতনকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। তখনকার মতো মার খেয়ে চলে গেলেও দুটো নাগাদ বাড়ি থেকে বোমা এনে ভিড়ের মধ্যে ছুঁড়ে পালিয়ে যায়। সেই বোমার আঘাতে কার্তিক মাঝি নামে বছর পাঁচেকের এক শিশুপুত্র-সহ চারজন জখম হন। আহতদের কাটোয়া হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। এদিকে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে অভিযুক্ত। পরিস্থিতি নিয়্ন্ত্রণে ঘটনাস্থেল টহল দিচ্ছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.