Advertisement
Advertisement

ব্লাউজ বদল ঘিরে চুলোচুলি দোকানি-চিকিৎসকের! ভরসন্ধেয় ‘রঙ্গ’ দেখল কাটোয়া

ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Katwa business woman beaten woman over brawl about blouse
Published by: Paramita Paul
  • Posted:September 26, 2024 5:38 pm
  • Updated:September 26, 2024 5:38 pm  

ধীমান রায়, কাটোয়া: পোশাকের দোকানে কেনাকাটা করতে গিয়ে তর্কাতর্কির জেরে দোকানের মালকিনের হাতে বেদম খেলেন কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের এক মহিলা চিকিৎসক। হাতের আঙুল ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আঘাত করা হয়েছে মুখে ও মাথায়। জখম অবস্থায় ওই মহিলা চিকিৎসক কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আক্রান্তের স্বামী এনিয়ে কাটোয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, আক্রান্তের নাম সোফিয়া থাকেলারবাম। তিনি কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের আয়ুর্বেদিক বিভাগের চিকিৎসক। তাঁর স্বামী ইন্দ্রনীল রায় ও চিকিৎসক। তিনি কেতুগ্রাম ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রয়েছেন। স্বামী-স্ত্রী কাটোয়া ঝুপোকালীতলায় থাকেন।

Advertisement

জানা গিয়েছে,বুধবার সন্ধের দিকে ঘটনাটি ঘটে। সোফিয়া থাকেলারবাম জানিয়েছেন, কাটোয়া শহরের সার্কাস ময়দান এলাকায় একটি কাঁথাস্টিচ ও বুটিকের দোকানে কেনাকাটা করতে গিয়েছিলেন। ওই দোকানে কিছুদিন আগেও ওই মহিলা চিকিৎসক কেনাকাটা করেছিলেন। বুধবার নতুন পোশাক কেনার পাশাপাশি আগে কেনা দুটি ব্লাউজ বদল করতে চেয়েছিলেন। আর তা থেকেই গণ্ডগোলের সূত্রপাত। জানা গিয়েছে, ওই দোকানের মালিক শ্যামল বৈরাগ্য ও তাঁর স্ত্রী নয়নমণি বৈরাগ্য দুজনেই দোকান চালান।

ছবি: আক্রান্ত চিকিৎসক।। জয়ন্ত দাস

 

আক্রান্ত চিকিৎসক জানিয়েছেন তখন দোকানে শ্যামলবাবুর স্ত্রী ছিলেন। পছন্দের পোশাক নেওয়ার পর তিনি দুটি ব্লাউজ বদল করে দেওয়ার কথা বলেন। সোফিয়া থাকেলারবামের অভিযোগ,”আমি দুটি পোশাক বদল করে দেওয়ার কথা বলতেই ওই মহিলা আমাকে অকথ্য ভাষায় অপমান করতে থাকেন। আমি প্রতিবাদ করতেই আমার উপর চড়াও হয়ে বেধড়ক মারধর শুরু করেন। চড়-ঘুঁষি-লাথির পাশাপাশি আমাকে দোকানে ফেলে মারধর করে। আমার কোনও কথাই তিনি শুনতে চাননি।”

জানা গিয়েছে, এর পর আক্রান্ত চিকিৎসক তাঁর পরিচিতদের ফোন করে জানালে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। খবর পেয়ে কেতুগ্রাম থেকে চলে আসেন তাঁর স্বামী ইন্দ্রনীলবাবুও। এরপর বুধবার রাতে ইন্দ্রনীলবাবু কাটোয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। যদিও অভিযুক্ত মহিলা নয়নমণি বৈরাগ্যের কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। স্বামী শ্যামল বৈরাগ্য বলেন,”আমি দুই-চার মিনিটের জন্য দোকান ছেড়ে বাইরে গিয়েছিলাম। তখনই এই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। আমি প্রচণ্ড লজ্জিত ও দুঃখিত। ডাক্তার ম্যাডামের কাছে ক্ষমাও চেয়েছি।” পূর্ব বর্ধমান জেলার পুলিশ সুপার আমন দীপ জানান, অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement