ধীমান রায়, কাটোয়া: অ্যাম্বুল্যান্সই হোক কিংবা ব্যক্তিগত গাড়ি, পার্কিংয়ের জন্য টাকা দিতে হয়। পার্কিং ফি না দেওয়ায় কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা পাঁচটি অ্যাম্বুল্যান্সে তালা ঝুলিয়ে দিলেন ঠিকাদার। ঘটনায় তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পার্কিং ঠিকাদার সঙ্গে অ্যাম্বুল্যান্স মালিকদের হাতাহাতি হয় বলে খবর। কাটোয়ার মহকুমাশাসকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনজন মালিক। রোগী কল্যাণ সমিতির সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন মহকুমাশাসক সৌমেন পাল।
[কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে খাবারের প্যাকেটে দুর্গন্ধ, রাতভর অভুক্ত থাকলেন যাত্রীরা]
পূর্ব বর্ধমানে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে সাইকেল, বাইক, এমনকী অ্যাম্বুল্যান্স রাখার জন্য টাকা নেওয়া হয়। পার্কিং ফি আদায়ের জন্য বার্ষিক চুক্তিতে ঠিকাদার নিয়োগ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কাটোয়া হাসপাতালে বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্স চলে ২০ থেকে ২২টি। পার্কিংয়ের জন্য মাসে ৫০০ টাকা করে দিতে হয় অ্যাম্বুল্যান্স মালিকদের। পার্কিং ঠিকাদারের অভিযোগ, গত দু-তিন মাস ধরে পাঁচ অ্যাম্বুল্যান্সের পার্কিং ফি দিচ্ছেন না মালিকেরা। ওই পাঁচটি বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্সের মালিক তিনজন বলে জানা গিয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় যখন কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে সামনে অ্যাম্বুল্যান্সগুলি দাঁড়িয়েছিল, তখন প্রতিটি অ্যাম্বুল্যান্সের সামনে একটি করে সাইকেল রেখে তালা লাগিয়ে দেন ঠিকাদার। ফলে গা়ড়ি আর বের করতে পারেননি চালকরা। বিষয়টি মালিককে জানান তাঁরা। হাসপাতালে গিয়ে পার্কিং ঠিকাদারের কাছে দেখা করেন অ্যাম্বুল্যান্সে মালিকেরা। শুরু হয়ে যায় বচসা। এমনকী, হাতাহাতিও হয় বলে জানা গিয়েছে। অ্যাম্বুল্যান্সে মালিকদের বক্তব্য, ‘আমরা বলেছিলাম বকেয়া মিটিয়ে দেব। তার পরেও অ্যাম্বুল্যান্সের তালা খোলা হয়নি। জরুরি পরিষেবা এভাবে বন্ধ করা যায়?’ পার্কিং ঠিকাদারের পালটা দাবি, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই তালা লাগিয়েছি। ফি পেলে তালা খুলে দেব।’ কাটোয়া মহকুমাশাসকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন অ্যাম্বুল্যান্স মালিকরা। বিষয়টি নিয়ে রোগী কল্যাণ সমিতির সঙ্গে আলোচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। যদিও এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলতে চায়নি কাটোয়া মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ছবি: জয়ন্ত দাস
[ভূত তাড়ানোর নামে বেধড়ক মার গুনিনের, বেঘোরে মৃত্যু পক্ষাঘাতে আক্রান্ত যুবকের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.