ছবি: জয়ন্ত দাস।
ধীমান রায়, কাটোয়া: গঙ্গায় ডুবে মৃত্যু হল প্রতিশ্রুতিবান এক ক্রীড়াবিদের৷ জয় সাহা নামে ওই যুবক কাটোয়া কলেজের বিএ তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন৷ মেধাবী ছাত্রের অকালমৃত্যুতে শোকস্তব্ধ কাটোয়া পুরসভার দশ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোষহাট৷
কাটোয়া পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোষহাটের বাসিন্দা সিদ্ধেশ্বর সাহা ও বীণাদেবীর একমাত্র পুত্র ছিলেন জয়। তাঁর বাবা পেশায় টোটোচালক। কাটোরা কাশীগঞ্জ পাড়াতেই আগে থাকত তাঁরা। পারিবারিক সমস্যার জেরে বাবা-মায়ের সঙ্গে আপাতত ঘোষহাটে ভাড়াবাড়িতেই থাকত সে৷ মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই প্রতিবেশীদের সঙ্গে দিব্যি ভাব জমিয়ে নিয়েছিলেন জয়৷ ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলায় অসম্ভব দক্ষতা ছিল জয়ের। কাটোয়ার জাগরণী ক্রীড়া আ্যকাডেমি নামে একটি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন জয়। সেখানেই ক্রীড়াচর্চা করতেন। এদিন সকালে অনুশীলনের জন্য তিনি বাড়ি থেকে পৌরসভার মাঠে গিয়েছিলেন। সেখানে অনুশীলন শেষ করে সকাল প্রায় সাড়ে দশটা নাগাদ মরিঘাটে স্নান করতে গিয়েছিলেন। স্নান করার সময় নদীর জলে তলিয়ে যান কাটোয়া কলেজের তৃতীয় বর্ষের ওই ছাত্র। স্থানীয় কয়েকজন দেখতে পেয়েই তারা উদ্ধারের চেষ্টা করেন। খবর দেওয়া হয় মহকুমা শাসকের অফিসে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা বোট নিয়ে তল্লাশি শুরু করেন। দুপুর দেড়টা নাগাদ ঘাট থেকে প্রায় ২০০ মিটার দূরে জয়ের দেহটি উদ্ধার করা হয়। এরপর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়।
কাটোয়ার জাগরণী ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তা সৌমিত্র সাহা জানিয়েছেন, ‘‘ছোট থেকেই ভাল ফুটবল খেলতেন জয়৷ ২০১৪ সালে স্কুল স্তরের ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ১০০ মিটার দৌড়ে রাজ্যে প্রথম হয়েছিলেন তিনি। তাছাড়া জেলাস্তরের প্রতিযোগিতাতেও একাধিক পুরস্কার পেয়েছিলেন জয়।’’ ছেলের মৃত্যুতে চোখের জলে ভাসছেন জয়ের বাবা-মা৷ একমাত্র ছেলের অকালমৃত্যু মানতে পারছেন না তাঁরা৷ প্রাণচঞ্চল জয়ের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ প্রতিবেশীরাও৷ গোটা এলাকাতেই নেমেছে শোকের ছায়া৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.