রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: মা কি জানতেন ছেলের ‘অপারেশন কর্ণ’র কথা! যতবারই আদালতে ব্যাংক ডাকাতির মামলায় সঙ্গী-সহ ছেলেকে তোলা হয়েছে ততবারই সেখানে এসে হাপুস নয়নে কেঁদে ভাসিয়েছেন মুন্নার মা। তাল কাটল বৃহস্পতিবার। কোথায় মুন্নার মা?নেই তো?তাহলে? পলাতক মুন্না, সুরজিৎকে ধরতে এখন হন্যে মুন্নার মাকেও খুঁজে বেড়াচ্ছে পুলিশ। তদন্তকারীদের আশা, মাকে পেলে ছেলেরও দেখা মিলবে। বস্তুত, মুন্না ও সুরজিতের মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশের ফোনে ফেরার দুই বিচারাধীন বন্দি শেখ মুন্না ও সুরজিৎ হুমকি দিচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, এমন কোনও ঘটনার কথা তাঁর জানা নেই। এদিকে কর্ণ ও তার সঙ্গীদের অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগে এক পেয়ারা বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
[জিও-র টাওয়ার বসানোর নামে লক্ষাধিক টাকার প্রতারণা, শ্রীঘরে চার যুবক]
বৃহস্পতিবার ফিল্মি কায়দায় বোমা ছুঁড়ে, গুলি মেরে আসামী ছিনতাইয়ের ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল কাঁথি। ভরদুপুরে ভিড়ে ঠাসা আদালতের লক আপে তোলার সময় পুলিশকে গুলি করে চম্পট দেয় কর্ণ বেরা, রতিকান্ত মণ্ডল, শেখ মুন্না ও সুরজিৎ গুড়িয়া নামে চার আসামী। বোমা ছুড়তে ছুড়তে আদালত চত্বর থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল ওই চারজন। কিন্তু, শেষরক্ষা হয়নি। বাইক খারাপ হয়ে যাওয়ায় কর্ণ বেরা ও রতিকান্তকে ধরে ফেলেন পুলিশকর্মীরা। কিন্তু, শেখ মুন্না ও সুরজিৎ গুড়িয়া এখনও পলাতক। তারা কি শহরেরই কোনও বাড়িতে লুকিয়ে আছে? বৃহস্পতিবার রাতভর দু চোখের পাতা এক করতে পারেননি কাঁথি শহরের বাসিন্দারা। সকলে মনে ভয়, এই বুঝি বাড়িতে ঢুকে পড়ল পলাতক দুই দুষ্কৃতী! এদিকে কর্ণের দুই শাগরেদকে ধরতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে কাঁথি শহরের চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। চলছে মাইকিং। নদীপথে সতর্কতা জারি করা হয়েছে, দিঘা-ওড়িশা সীমান্তের কয়েকটি জায়গায়ও চলছে পুলিশি তল্লাশি এদিকে শুক্রবার কড়া নিরাপত্তায় ফের কর্ণ বেরা ও তার সঙ্গী রতিকান্ত মণ্ডলকে আদালতে পেশ করল পুলিশ। সকাল থেকে আদালত চত্বরে ছিল আটসাঁট নিরাপত্তা। দুই আসামীকে কোমরে দড়ি পরিয়ে আদালতে আনা হয়েছিল। মুখও কাপড়ে ঢাকা ছিল।
[ সালিশি সভার নিদান, আদিবাসী যুবককে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার চেষ্টা মাতব্বরদের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.