Advertisement
Advertisement

Breaking News

ফুড ফেস্টিভাল

দুঃস্থদের জন্য অভিনব ফুড ফেস্টিভ্যাল পদ্মশ্রী করিমুলের, মিলবে বিনামূল্যে চিকিৎসাও

অনুষ্ঠানে মাদল হাতে দেখা গেল করিমুল হককে।

Karimul haq has organised a Food Festival for poor
Published by: Sucheta Chakrabarty
  • Posted:February 23, 2020 8:57 pm
  • Updated:February 23, 2020 8:57 pm  

অরূপ বসাক, মালবাজার: মালবাজারে আয়োজন করা হল ফুড ফেস্টিভ্যালের। তথাকথিত ফুড ফেস্টিভ্যাল বলতে শহরে যা বোঝায় এটা ঠিক তা নয়। এ এক অন্য আয়োজন। আয়োজক মালবাজারে বাইক অ্যাম্বুল্যান্সের আবিষ্কর্তা পদ্মশ্রী করিমুল হক। মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করায় কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে পদ্মশ্রী সম্মান পেয়েছেন তিনি।

রোদ, ঝড়, জলকে উপেক্ষা করে কাজ করে চলেন নিরন্তর। গ্রামের প্রত্যন্ত এলাকার যে কোনও প্রান্ত থেকে ডাক পেলেই হল। মুহূর্তের মধ্যেই তিনি ছুটে গিয়েছেন সেখানে। বাইক অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবার পর এবার নয়া উদ্যোগ নিলেন সেই করিমুল হক। বিনে পয়সায় গ্রামের গরিবের মুখে খাবার তুলে দিতে আয়োজন করলেন ফুড ফেস্টিভ্যালের। অনুষ্ঠানে গরিবদের জন্য ছিল নতুন জামাকাপড়ের ব্যবস্থা ও চিকিৎসা পরিষেবা। তবে এই সব কিছু নিজে হাতেই আয়োজন করলেন করিমুল হক। এই কর্মকাণ্ডে তাঁকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেন শিলিগুড়ির রাম কুমার নাকিপুড়িয়া ফ্যামেলি। এদিন এলাকার প্রায় তিন হাজার মানুষের জন্য খাবারের আয়োজন করেন করিমুল হক। আমন্ত্রিতদের জন্য করলেন এলাহি আয়োজন।

Advertisement

সকালের খাবার হিসেবে ছিল পুরি, সবজি, চানা ডাল, ক্ষীর। দুপুরের খাবারের মধ্যে ছিল নান, রাধাবল্লভী, জিলেপি, পায়েস, ফুলকপির ডালনা, মিষ্টি। এই সব খাবার পেয়ে বেজায় খুশি করিমুল হকের গ্রামবাসীরা। মালবাজারের রাজাডাঙ্গা গ্রামে করিমুল হক নিজের বাড়ির মাঠে এই বিশাল কর্মযজ্ঞের আয়োজন করেন। রাত পর্যন্ত চলবে খাওয়ার আয়োজন, সঙ্গে রয়েছে বিনামূল্যের চিকিৎসা পরিষেবা। আনন্দের রসদ হিসেবে থাকছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আদিবাসী নাচ-গানের পালা। সকলের আনন্দে শামিল হতে মাদল হাতে নেমে পড়লেন করিমুল হকও। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জলপাইগুড়ির জেলাশাসক অভিষেক তিওয়ারি, মালবাজারের মহকুমা শাসক বিবেক কুমার ও জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায়-সহ রাজনৈতিক নেতৃত্বরাও।

[আরও পড়ুন:পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে থেকে চেঁচিয়ে মাধ্য়মিকের উত্তর সাপ্লাই! ভাইরাল ভিডিও]

বছরের পর বছর ধরে মুমূর্ষু রোগীদের পরিষেবার জন্য তার নিরলস পরিশ্রম তাঁকে অসাধারণ করে তুলেছে। এ কথা গত কয়েক বছরে বেশ ভালভাবেই বুঝে গিয়েছেন জলপাইগুড়ি–সহ গোটা ডুয়ার্স এলাকার মানুষ। ১৯৯৫ সালে শুধুমাত্র অর্থের অভাবে নিজের মাকে নিয়ে যেতে পারেননি হাসপাতালে। শুধুমাত্র একটি অ্যাম্বুল্যান্সের অভাবে চোখের সমানে তিলে চিলে শেষ হয়ে যেতে দেখেন মা জফুরান্নেসাকে। মায়ের এই অকালমৃত্যুর যন্ত্রণার কথা মন রেখেই নিজের বাকি জীবনটা মানুষের সেবার মাধ্যমে কাটিয়ে দিতে চান তিনি।

[আরও পড়ুন:পুকুরের জলে মানুষের খুলি ধুচ্ছে তন্ত্রসাধক! চাঞ্চল্য নরেন্দ্রপুরে]

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement