নিজস্ব সংবাদদাতা, তেহট্ট: করিমপুর বিধানসভার উপনির্বাচনে একদিনেই প্রচারে ঝড় তুললেন ডান, বাম, গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ নেতারা। প্রত্যেকেরই দাবি, তাঁদের দলই জিতবে।আগামী ২৫ নভেম্বর করিমপুর বিধানসভার উপনির্বাচন। ভোটের দিন যতই এগিয়ে আসছে, ততই রাজনৈতিক উত্তাপের পারদ চড়ছে। প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছে সব রাজনৈতিক দলই।
বুধবার সকাল থেকে হুডখোলা জিপে চড়ে দলীয় প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারের সমর্থনে প্রচার করেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। ডাক বাংলার মোড় থেকে নাটনা গ্রাম ঘুরে করিমপুর বাজার-সহ করিমপুর ১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন জায়গায় প্রচার সারেন তিনি। দৃপ্ত কণ্ঠে তিনি জানিয়েছেন, করিমপুরের প্রতিটি অলি-গলি তাঁর চেনা। বিপুল জনসমর্থন নিয়ে উপনির্বাচনে জিতবে বিজেপিই।
অন্যদিকে, তৃণমূল প্রার্থী বিমলেন্দু সিংহ রায়ের সমর্থনে প্রচার করেন সাংসদ মহুয়া মৈত্র ও আবু তাহের খান। জমশেরপুর, হরেকৃষ্ণপুর, নাটনা-সহ বিভিন্ন এলাকায় রোড শো করে তৃণমূল। এছাড়াও সেনপাড়া গ্রামের পাঁচগাছি ও জমশেরপুর গ্রামে পথসভাও করে রাজ্যের শাসকদল। তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছেন, বিজেপি বিভাজনের রাজনীতি করছে। মানুষ ভোট দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নকে সামনে রেখে। তৃণমূলের জয় নিয়ে কোনও সংশয় নেই বলেও আত্মবিশ্বাসের সুরে বলছেন নেতারা।
এদিন বিকেলে সিপিএম ও কংগ্রেসের জোট প্রার্থী গোলাম রাব্বির সমর্থনে থানারপাড়া থানা সংলগ্ন পাকা সড়কের পাশে পথসভায় ছিলেন দু’দলের শীর্ষ নেতারা। কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী, সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম তাঁদের বক্তব্যে এনআরসি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগ আনেন। পঞ্চায়েত ভোটে সন্ত্রাসের প্রসঙ্গ টেনে জনগণের কাছে তাঁদের আবেদন, ‘বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে কোনও ফারাক নেই। ওরা একটি ঘরে পাঁচিল দিয়ে পাশাপাশি থাকে। তাই রাজ্যের সামগ্রিক অবস্থা বিবেচনা করে ভোট দিন জোট প্রার্থীকেই।’ প্রচারে সুর চড়াচ্ছে সব দলই। এখন ২৫ তারিখ কার ঝুলিতে কত ভোট পড়ে, সেটাই দেখার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.