পলাশ পাত্র, তেহট্ট: কারগিল শহিদের মূর্তি ভাঙাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভে উত্তাল নদিয়ার তেহট্ট। স্থানীয় সাপজোলা হাইস্কুলে ছিল কার্গিল যুদ্ধের শহিদ প্রেমানন্দ চন্দের মূর্তি। বৃহস্পতিবার স্কুলে গিয়ে ছাত্রছাত্রীরা দেখতে পায় শহিদ জওয়ানের মূর্তি ভাঙা অবস্থায় রয়েছে। এরপর স্কুলে তালা ঝুলিয়েই চলে বিক্ষোভ। স্কুলের তরফে কালীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগও দায়ের হয়েছে।
জানা গিয়েছে, কারগিল যুদ্ধের শহিদ জওয়ান প্রেমানন্দ এই সাপজোলা হাইস্কুলের ছাত্র ছিলেন। ২২ বছরের জওয়ান ১৯৯৯ সালে কারগিল যুদ্ধে শহিদ হন। এর পরের বছর অর্থাৎ ২০০০ সালে তাঁর সম্মানে স্কুলে শহিদের মূর্তি স্থাপন করা হয়। তাঁর মূর্তির পাশেই রয়েছে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাসের মূর্তি। সেটিও অক্ষত অবস্থাতেই রয়েছে। এটি দেখার পরেই ছাত্রছাত্রীরা উত্তেজিত হয়ে পড়ে। লাগোয়া গ্রামে দ্রুত খবর ছড়িয়ে পড়ে। দেখা যায়, শুধু শহিদের মূর্তিই নয়। ভেঙে ফেলা হয়েছে স্কুলের একমাত্র টিউবওয়েলের হাতলও। এরপরই স্কুলে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভে সামিল হয় উত্তেজিত গ্রামবাসী। বিক্ষোভের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় স্থানীয় কালীগঞ্জ থানার পুলিশ। তালা খুলে ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের স্কুলের ভিতরে নিয়ে আসে।
রাতের অন্ধকারেই দুষ্কৃতীরা কাজটি করেছে বলে মনে করছে পুলিশ। স্কুলে নিরাপত্তারক্ষী না থাকাতেই এই ঘটনা ঘটানো সম্ভব হয়েছে বলে অনেকের দাবি।এই প্রসঙ্গে, প্রধান শিক্ষিকা সুষমা দে জানান, শহিদ প্রেমানন্দ এই স্কুলের ছাত্র। তাঁর সম্মানে এই কংক্রিটের মূর্তি বসানো হয়েছিল। পাশেই রয়েছে দেশবন্ধুর মূর্তি। সেটি অক্ষত অবস্থাতেই রয়েছে। কে বা কারা কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটাল তা স্পষ্ট নয়। তবে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। পাঁচিল ঘেরা স্কুলের গেটে তালা লাগানো থাকে। পাঁচিল টপকে গিয়েই কেউ দুষ্কর্মটি করেছে বলে অনুমান। তবে আলাদাভাবে নিরাপত্তারক্ষী রাখার ব্যবস্থা স্কুলে নেই। এই ঘটনার পরে বিষয়টি নিয়ে ভাবাচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষকে।
কালীগঞ্জ থানার পুলিশ জানিয়েছে, স্কুলে শহিদ ছাত্রের মূর্তি ভাঙার অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ দায়ের হয়েছে। দোষীদের খুঁজে বের করতে তদন্তও শুরু হয়েছে। প্রিয় ছাত্রের মূর্তি ভেঙে ফেলার ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.