সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: চারদিকে ধ্বংসের চিহ্ন। ভেঙে পড়ে রয়েছে বাড়ির দেওয়াল। লন্ডভন্ড গোটা চত্বর। পোড়া গন্ধ এখনও বাতাসে ঘুরছে। এলাকাবাসীর চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। পুলিশের বড় কর্তাদের আনাগোনা লেগেই রয়েছে। এমন অবস্থায় বুধবার পাথরপ্রতিমার ঢালখোলায় বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি পরিদর্শনে গেলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। সেখানে তিনি হাই কোর্টের তত্ত্বাবধানে নিরপেক্ষ সংস্থাকে দিয়ে ঘটনার তদন্ত করার দাবি জানা। পাশাপাশি তাঁর অনুরোধ, সরকার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের দায়িত্ব নিক।
বাসন্তী পুজো উপলক্ষ্যে পাথরপ্রতিমার ঢোলাহাট এলাকায় বণিক পরিবার প্রচুর বাজি তৈরি করছিল। কারখানার পাশাপাশি বাড়িতেও মজুত ছিল বাজি তৈরির মশলা। সোমবার রাত ন’টা নাগাদ আচমকাই বাজির স্তূপে আগুন ধরে যায়। তাতেই বিস্ফোরণ। মারা যান পরিবারের ৮জন। তার মধ্যে শিশুরাও রয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমে মঙ্গলবার কারখানা মালিক চন্দ্রকান্ত বণিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রাক্তন মন্ত্রীর দাবি, জেলা পুলিশকে দিয়ে তদন্ত করলে হবে না। তাঁর কথায়, “পুলিশ ও প্রশাসন সব জানত। তাই জেলা পুলিশকে দিয়ে তদন্ত করলে ফল শূন্য হবে। হাই কোর্টের তত্ত্বাবধানে নিরপেক্ষ সংস্থাকে দিয়ে ঘটনার তদন্ত করা হোক।” সঙ্গে তিনি আরও প্রশ্ন তুলে বলেছেন, “শুনেছি এই কারখানার মালিক আগে আরও একবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তাহলে তারপরও কী করে ব্যবসা করছিল? ব্যবসার কোনও লাইসেন্স ছিল না বলেই শুনেছি। শুধু ট্রেড লাইসেন্স ছিল, যা দিয়ে এই ব্যবসা করা যায় না। দমকল, পলিউশন দপ্তর-সহ একাধিক দপ্তরের ছাড়পত্র লাগে। তা কিছুই ছিল না।”
ঘটনার প্রায় দু’দিন কেটে যাওয়ার পরও থমথমে গোটা এলাকা। বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক রয়েছে। পুলিশ এলাকা ঘিরে রেখেছে। আসা-যাওয়া রয়েছে পুলিশকর্তাদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.