রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: লকডাউনের ফলে অমিল মদ। তার ফলে ত্রাহি ত্রাহি রব উঠেছে পিপাসুদের। কীভাবে নেশা করবেন, তা বুঝতে পারছেন না। নেশাহীন গৃহবন্দি জীবন মোটেও মেনে নিতে পারছেন না তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে মাত্রাতিরিক্ত হোমিওপ্যাথি ওষুধ খেয়ে নেশা করার চেষ্টা কাল হয়ে দাঁড়াল। নেশা করতে গিয়ে নিজেদের বিপদ ডেকে আনলেন দুই যুবক। বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হল দু’জনের। আরও দু’জন ভরতি কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে। তাঁদের অবস্থাও অত্যন্ত আশঙ্কাজনক।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মদ না পেয়ে ব্রায়োনিয়া ৩০ নামে হোমিওপ্যাথি ওষুধের সঙ্গে কোনও নেশার ট্যাবলেট কেনেন কাঁথির মারিশদা থানা এলাকার শিল্পীবাড়ির বাসিন্দা চার যুবক। শনিবার সন্ধেয় ওই ওষুধগুলি খেয়ে নেন তাঁরা। তাতেই বিষক্রিয়া হয়ে যায়। অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রায় প্রত্যেকে। বেহুঁশ হয়ে যান। পরিজনেরা হুড়োহুড়ি ফেলে দেন। মুহূর্তের মধ্যে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে করোনা আক্রান্ত হওয়ার গুজব। প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। অসুস্থ ওই যুবকদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
বেশ কিছুক্ষণ চিকিৎসার পরই হাসপাতালের তরফে যুবকদের অসুস্থতার কারণ স্পষ্ট করা হয়। চিকিৎসকরা জানান, হোমিওপ্যাথি ওষুধ এবং নেশার ট্যাবলেট মিশিয়ে খাওয়ার ফলেই বিষক্রিয়া হয়ে যায়। তাতেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ওই যুবকেরা। কিছুক্ষণের মধ্যে দু’জনকে মৃত বলে জানান চিকিৎসকরা। মৃতেরা হল কাঁথির পিছাবনির বাসিন্দা ভরত দাস এবং মারিশদা শিল্লীবাড়ির বাসিন্দা পঙ্কজ দাস। বাকিদের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। পুলিশ সুপার ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় বলেন, “মদ না পেয়ে এভাবে আরও কেউ নেশা করার চেষ্টা করছে কি না, তা আমরা খতিয়ে দেখছি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.