Advertisement
Advertisement

কন্যাশ্রী মাকে চিরস্থায়ী করতে অষ্টধাতুর মূর্তি নির্মাণ

আদ্যক্ষর ‘ক’ দিয়ে রাখা হয় মেয়েদের নাম।

'Kannyashree' Kali idol prepare in Birbhum
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:October 14, 2017 12:08 pm
  • Updated:October 14, 2017 12:08 pm  

নন্দন দত্ত, বীরভূম: মা এ গ্রামে কন্যাশ্রী। তাই এবার থেকে কন্যাশ্রীকে দুবেলা খুশিতে দেখার জন্য কালীপুজোর দিন থেকে দুপুরে অন্নভোগ-সহ নিত্য পুজো শুরু হতে চলেছে। একইসঙ্গে মাকে প্রতিষ্ঠা করতে প্রায় সাত কুইন্ট্যাল অষ্টধাতু দিয়ে মূর্তি তৈরির কাজ চলছে। যার ফলে এবার ময়ূরেশ্বর (১) ব্লকের বাজিতপুরের কলাবাগান পাড়ায় দীপাবলীর আনন্দ অন্যরকম।

[সংস্কার হলেও ঝোপের আড়ালে লুকিয়ে কপালকুণ্ডলা মন্দির]

Advertisement

১৩ বছর আগে কয়েকজন যুবকের উদ্যোগে কলাবাগান পাড়ায় বাঁশের মাচা বেঁধে কালীপুজো শুরু হয়েছিল। পরের বছর ২০০৫ সালে স্থায়ী মূর্তি ও পাকা বেদি তৈরি করা হয়। সেই বেদিতেই একদিন সকালে দুধের বোতল-সহ এক শিশুকন্যাকে দেখতে পান গ্রামবাসীরা। গ্রামের শেফালি দাসের বাড়িতে সেই শিশুকন্যাকে দত্তক রাখে গ্রামবাসীরা। দুমাসের মধ্যেই শিশুকন্যাটি মারা যায়। একরত্তি কন্যা সবাইকে ছেড়ে গেলেও তার মূর্তি বানিয়ে নিত্যপুজোর দাবি করেন গ্রামবাসীরা। তাদের মনে হয়েছিল খোদ দেবী গ্রামে থাকার জন্য এসেছিলেন। কিন্তু কোনওভাবে তাকে রাখা যায়নি। এরপর থেকেই বেদিতে মূর্ত্তি বানিয়ে শুরু হয় কন্যাশ্রীর পুজো। শুধু তাই নয়, গ্রামে কন্যাসন্তান বাঁচাতে শুরু হয় কালী মায়ের নামে নাম রাখা। গ্রামবাসীরা জানান আদি অক্ষর ‘ক’ রেখে একদিকে মাকে স্মরণ করা, পাশাপাশি গ্রামের কন্যাশ্রীদেরও স্বীকৃতি দেওয়ার কাজ শুরু হয়। তাই কলাবাগানের মেয়েরা কাকলী, কৃষ্ণা, কাজলী, কল্পনা নামে পরিচিত হয়।

[কুলো কেটে কালীর জিভ, বড়বেলুনের বড় মায়ের মাহাত্ম্য বহু দূর]

এবার সেই পুজোয় অষ্টধাতুর মূর্তি হচ্ছে। যার নেপথ্যে রয়েছেন কৃষ্ণনগরের শিল্পী নবকুমার বাগ। তাঁর কথায়, ৬ কুইন্টাল অষ্টধাতু দিয়ে মায়ের মূর্তি হচ্ছে। যার রুপোর মুকুট হচ্ছে ৩৫ ভরির। শিল্পীর সংযোজন, বহু জায়গায় তিনি মূর্তি তৈরি করলেও এমন জটিলতার সামনে পড়েননি। কোনওভাবেই ধাতু গলানো সম্ভব হচ্ছিল না। সবশেষে মায়ের বেদিতে পুজো করে মূর্তি নির্মাণ শুরু হয়। তবে এনও চক্ষুদান বাকি। পুজো কমিটির সভাপতি প্রদীপ দাসের কথায়, ‘‘মা আমাদের ঘরের মেয়ের মতো। আমাদের আবদার,  প্রার্থনা তিনি ফেরান না।’’ এই গ্রামে নবজাতককে মায়ের কাছে দেখিয়ে তবে ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। এবছর পুজোর বাজেট প্রায় দশ লক্ষ টাকা। মায়ের নিত্যপুজোর সঙ্গে অন্নভোগের ব্যবস্থা হবে। বাড়ির মেয়ে নিজেই সব ব্যবস্থা করে নিচ্ছেন। গ্রামের সবার কাছে দেবী কন্যাশ্রী মা।

ছবি: সুশান্ত পাল         

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement