Advertisement
Advertisement
Kanchanjunga Express Accident

‘অপারেশনে গাফিলতি’, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার রিপোর্টে কী জানাল রেল?

দুর্ঘটনার পর প্রাথমিকভাবে চালকের ঘাড়ে দায় ঠেলে দিয়েছিল রেল। এবার সরেজমিনে তদন্তের পর কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির রিপোর্টে বহু খুঁত ধরা পড়ল।

Kanchanjunga Express Accident: Probe finds multiple lapses, says incident was waiting to happen

ফাইল ছবি।

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:July 16, 2024 2:58 pm
  • Updated:July 16, 2024 3:35 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৭ জুন ভয়াবহ দুর্ঘটনা, উত্তরবঙ্গে মৃত্যুর মুখে পড়েছিলেন ১১ জন। প্রায় মাসখানেক পর কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের সেই দুর্ঘটনায় রিপোর্ট জমা পড়ল। কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির রিপোর্টে একাধিক গাফিলতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য চালক, স্টেশন মাস্টারদের যথাযথ প্রশিক্ষণের অভাব। ট্রেন অপারেশনেও একাধিক ত্রুটি ছিল। পাশাপাশি যত দ্রুত সম্ভব, দুর্ঘটনা এড়াতে অটোমেটিক সিস্টেম চালু করার পক্ষে প্রস্তাব করা হয়েছে রেলওয়ে সেফটি কমিশনারের তরফে।

গত ১৭ জুন, নিউ জলপাইগুড়ির কাছে রাঙাপানি স্টেশনে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস (Kanchanjungha Express)। উলটোদিক থেকে আসা মালগাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লেগে বেশ কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে মৃত্যু (Death) হয় ১১ জনের। দুর্ঘটনার কারণ খুঁজতে গিয়ে একাধিক গাফিলতির তত্ত্ব উঠে আসে। তাতে চালকের উদাসীনতার অভিযোগ ওঠে। সিগন্যাল ঠিকমতো নজর না করায় দুর্ঘটনা বলে প্রাথমিকভাবে চালকের ঘাড়ে দায় ঠেলে দিয়েছিল রেল। এবার সরেজমিনে তদন্তের পর কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির রিপোর্টে বহু খুঁত ধরা পড়ল।

Advertisement

[আরও পড়ুন: কাশ্মীর যেন ‘মৃত্যু উপত্যকা’, ৩২ মাসে শহিদ ৪৮ জওয়ান, কেন শান্তি অধরা?]

বলা হচ্ছে, সিগন্যাল সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল ছিলেন না চালক। পেপার মেমো পাওয়ার পর সিগন্যালের (Signal) ত্রুটি বুঝতে না পেরে কাঞ্চনজঙ্ঘার চালক ওই লাইনেই ট্রেনটিকে নিয়ে যান। ফলে উলটোদিক থেকে আসা মালগাড়ির সঙ্গে ধাক্কা অবধারিত ছিল। ট্রেন চালনা সংক্রান্ত যথেষ্ট তথ্য না থাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। ওইদিন ত্রুটিপূর্ণ সিগন্যালের (Defective Signal) কারণে একই লাইনে অন্তত ৫টি ট্রেন ঢুকে পড়ত, যাতে আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত বলে উল্লেখ রয়েছে রিপোর্টে। ট্রেনের গতিতেও সমস্যা ছিল। কোনও কোনও চালক ঘণ্টায় ১৫ কিলোমিটার গতিতেই ট্রেন চালাতেন, কিন্তু সঠিক নির্দেশের অভাবে অনেকেই এই গতি নিয়ন্ত্রণ করতেন না। মালগাড়ির গতি ১৫ কিলোমিটার ছিল না বলেই তদন্তে জানা গিয়েছে।

[আরও পড়ুন: ‘১০ কোটি মানুষকে অপমান’! হরভজনদের সেলিব্রেশনে তীব্র বিতর্ক, তোপের মুখে ভারতীয় দল]

CRS-এর (Commissioner of Railway Safety) রিপোর্টে এও স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে, অটোমেটিক সিগন্যাল নিয়ে সব চালককে ঠিকমতো প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি। তাই বেশ কিছু সিগন্যাল নিয়ে সন্দিহান ছিলেন চালকরা, অনেক কিছু ঠিকমতো বুঝতেও পারেননি। বলা হচ্ছে, অটোমেটিক সিগন্যাল কাজ না করলে বিকল্প পথে ট্রেনযাত্রার জন্য তিনটি উপায় বলা আছে। কিন্তু তা ঠিকমতো বুঝতে না পারায় তিনটির একটিও প্রয়োগ করেন না কোনও চালক। গত ৫ বছরে শুধুমাত্র সিগন্যাল বিকল হওয়ার কারণে কতগুলি ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে, তার হিসেবও দেওয়া হয়েছে এই রিপোর্টে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement