ব্রতীন দাস, শিলিগুড়ি: গোর্খাল্যান্ড আন্দোলন গতি পাওয়ায় এবার ঝুলি থেকে পৃথক রাজ্যের দাবি বের করল কামতাপুরিরা। ঘোষণা মতো সোমবার সকালে অসমের বিভিন্ন রেল স্টেশনে অবরোধ হয়। যার ফলে এরাজ্যের সঙ্গে অসমের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ১২ ঘণ্টার এই কর্মসূচির জেরে নাকাল হন যাত্রীরা। বিভিন্ন স্টেশনে আটকে পড়ে বহু ট্রেন।
অসমের রেল অবরোধের ধাক্কা এরাজ্যে। ইস্যু আলাদা কামতাপুর রাজ্য। প্রায় ঠান্ডা ঘরে চলে যাওয়া কামতাপুরের দাবি আবার প্রকাশ্যে চলে এল। গোর্খাল্যান্ড চেয়ে পাহাড়ে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা আন্দোলন তীব্র করেছে। যার আঁচ পড়েছে বাংলা-অসম সীমানায়। কামতাপুরি রাজ্যের দাবি সামনে এসেছে। সম্প্রতি কামতাপুরিদের দাবি মেনে রাজবংশী ভাষাকে স্বীকৃতি দিয়েছে রাজ্য সরকার। তবুও আন্দোলন থামছে না। আলাদা রাজ্যের দাবি আদায়ে আন্দোলনকারীদের টার্গেট হয় রেল। ঘোষণা মতো সোমবার সকাল থেকে বাংলা লাগোয়া অসমের একাধিক রেলস্টেশনে অবরোধ শুরু হয়। বাসুগাঁও, বাসুসুরা, বঙ্গাইগাঁও, গোয়ালপাড়া, কোকরাঝাড়ের মতো কামতাপুরী প্রভাবিত এলাকায় রেল অবরোধ হয়। ১২ ঘণ্টার এই কর্মসূচিতে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের ট্রেন চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। সোমবার সকাল থেকে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন। বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বাংলা-অসম রেল যোগাযোগ। আপ ডিব্রুগড়-রাজধানী দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে পড়ে কাটিহার স্টেশনে। আপ কামরূপ এক্সপ্রেস আটকে থাকে এনজেপিতে। ডালখোলায় দাঁড়িয়ে ছিল গরিবরথ। তিনমাইল স্টেশনে যশবন্তপুর-কামাখ্যা এক্সপ্রেস। আলুয়াবাড়িতে ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস, নিউ বঙ্গাইগাঁওতে গুয়াহাটি-ইন্দোর কয়েক ঘণ্টা আটকে পড়ে।
এদিকে টানা বৃষ্টিতে উত্তরবঙ্গের একাংশে বাড়ছে। নতুন করে প্লাবিত হয়েছে ডুয়ার্সের বেশ কিছু এলাকা। নদী ভাঙন শুরু হওয়ায় উদ্বিগ্ন বাসিন্দারা। সোমবার সকালে গজলডোবায় তিস্তা ব্যারাজ থেকে ২০১০ কিউসেক জল ছাড়া হয়। এতে মালবাজার ও ক্রান্তির বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। তিস্তার পাশাপাশি জল বেড়েছে জলঢাকা নদীতে। কোচবিহারে তোর্সায় নিখোঁজ হয়েছেন তিনজন। তাদের খোঁজে ডুবুরি ও স্পিডবোট চালানো হয়। ধূপগুড়ি ও ফালাকাটায় নদীর জল ঢুকতে শুরু করেছে। যার জেরে ধূপগুড়িতে সড়ক নির্মানের কাজ ব্যাহত হচ্ছে। ডুয়ার্সের পাঁচটি বাগান জলের তলায়। বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় নদীপারের বাসিন্দাদের চিন্তা বাড়ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.