Advertisement
Advertisement

Breaking News

হায়দরাবাদ দেখল, বাংলা কবে দেখবে? প্রশ্ন কামদুনির প্রতিবাদী মৌসুমীর

'শম্বুকগতি' ন্যায়ালয়ের চাইতে কি 'গঙ্গাজল' পদ্ধতিই সেরা?

Kamduni protester Mousumi Koyal on Hyderabad incident
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:December 6, 2019 2:57 pm
  • Updated:December 6, 2019 3:09 pm  

মণিশংকর চৌধুরি: কামদুনি দেখেছিল, হায়দরাবাদ দেখল, xxxxxxx দেখবে। এই ‘এক্স’গুলি নিকট ভবিষ্যতে হতে চলা ধর্ষণের ঘটনাস্থল। আইন আছে, পুলিশ আছে, আদালত আছে, নেই শুধু বিচার। লালফিতের জট ও তারিখের পর তারিখ পেরিয়ে যদিও বা যৎসামান্য কিছু মেলে, তা জুতোর শুকতলা নয়, গোটা জুতো খুইয়েই। ফলে স্বাভাবিকভবেই বিচারব্যবস্থার উপর আস্থা হারিয়েছে জনতা। তাই হায়দরাবাদে যখন চার ধর্ষককে পুলিশ গুলি করে মারে, তখন উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে জনতা।

তাহলে কি এভাবেই শাস্তি হওয়া উচিত ধর্ষকদের? ‘শম্বুকগতি’ ন্যায়ালয়ের চাইতে কি ‘গঙ্গাজল’ পদ্ধতিই সেরা? নীতিগতভাবে এনকাউন্টারের এই ঘটনা কি আদৌ সমর্থনযোগ্য? প্রাথমিক ‘ইউফোরিয়া’ কেটে যাওয়ার পর উঠছে এমন প্রশ্নই। উত্তর পাঠক নিজের মতো করে ভেবে নিতেই পারেন। গণধর্ষিতা, নিহত পশু চিকিৎসক প্রিয়াংকা রেড্ডির জন্য পথে নেমেছিল গোটা দেশ। দিল্লির নির্ভয়ার জন্য মোমবাতি পুড়েছিল। ‘বুদ্ধিজীবী’রা সংযত বয়ানে ‘মানবাধিকার’-এর বুলি কপচিয়ে বিচার চেয়েছিলেন। ‘নির্বোধ’ জনতা সোজাসাপটা ফাঁসির দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু প্রত্যেকটা ধর্ষণে বিচার চাইতেই কি পথে নামতে হবে? মোমবাতি জ্বালিয়ে বারবার ন্যায় চাইতে হবে? এমন কঠিন প্রশ্নই তুলে ধরেছেন কামদুনি ধর্ষণ কাণ্ডের অন্যতম প্রতিবাদী মুখ মৌসুমী কয়াল।

Advertisement

শুক্রবার হায়দরাবাদের এনকাউন্টার নিয়ে প্রতিক্রিয়া চাইলে তিনি পালটা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, ‘আপনিই বলুন না প্রত্যেক নির্যাতিতাকেই কি বিচার চাইতে পথে নামতে হবে? যাঁরা মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করে না তাঁদের আর্তি কি আদৌ কেউ শোনে?’ তবে এতেই থামলেন না তিনি, বলে চললেন, ‘হায়দরাবাদে পুলিশ যা করেছে আমি তা সম্পূর্ণভাবে সমর্থন করি। অন্য রাজ্যের পুলিশ তা দেখে শিক্ষা নিক।’ তাঁকে থামিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, ‘কামদুনি-মালদহ-কালীঘাট-গাংনাপুর, বাংলায় নারী নিরাপত্তা নিয়ে কী বলবেন? তাছাড়া আইন হাতে তুলে নেওয়া কি ঠিক?’ প্রশ্ন শেষ হতে খানিকটা আক্রোশ মেশানো গলায় তিনি বললেন, ‘পুলিশ, প্রশাসন সবই তো রয়েছে। কিন্তু দিনের পর দিন ধর্ষণের ঘটনা ঘটে চলেছে। আমরা পথে নেমেছিলাম। কিন্তু সবার পক্ষে তো পথে নামা সম্ভব নয়। বিচারব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রিতার জন্যই আজ মানুষ ন্যায়প্রাপ্তির আশা হারিয়ে ফেলেছে। আর আইন! এই আইনের জোব্বা গায়ে চাপিয়েই তো উকিলদের একাংশ ধর্ষকদের নির্দোষ প্রমাণ করতে ব্যস্ত। বাংলায় তো ধর্ষণের ঘটনাগুলিকে সাজানো বলে চেপে দিচ্ছে পুলিশ। অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধেই পালটা মিথ্যে মামলা দায়ের করা হচ্ছে। মানুষের জন্যই সরকার, সরকারের জন্য মানুষ নয়।’

মৌসুমীর এই বক্তব্য শানিত, যুক্তিনিষ্ঠ। তা কারও গ্রহণ বা বর্জনের উর্ধ্বে। তবে প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে – আর কতবার পথে নামলে, তবে বিচার পাওয়া যাবে?

[আরও পড়ুন: হায়দরাবাদ গণধর্ষণ কাণ্ডে ধৃতদের মৃত্যু ‘ক্ষতে মলম’, মন্তব্য নির্ভয়ার মায়ের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement