সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার প্রভাব থেকে মুক্ত নয় ধর্মীয় স্থানগুলি। সংক্রমণের জেরে প্রসাদ বিতরণ বন্ধ করে দেওয়া হল কামারপুকুর মঠ ও মিশনে। নিশেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে দলবদ্ধ হয়ে মঠে প্রবেশের ক্ষেত্রেও।
করোনার মরণ কামড় থেকে মুক্তি পাচ্ছে না কেউই। প্রভাব পড়ছে অ্যামিউজমেন্ট পার্ক থেকে স্কুল-কলেজ, মন্দিরগুলিতে। নিষেধাজ্ঞা জারি করে বন্ধ করা হচ্ছে সমস্তরকমের জমায়েত। এর ফলে বন্ধ করে দেওয়া হল কামারপুকুর মঠ ও মিশনের প্রসাদ বিতরণ প্রক্রিয়া। দলবদ্ধভাবে মঠে প্রবেশও নিষিদ্ধ। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কামারপুকুর মঠ ও মিশন কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয়, “১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখা হচ্ছে প্রসাদ বিতরণ। প্রতিদিন সন্ধ্যা আরতি দেখার জন্য বহু মানুষ ভিড় করেন মঠে। তাঁদের জন্য বসার ব্যবস্থা করেন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সোমবার থেকে সবাই মিলে একসঙ্গে বসে আর আরতি দেখতে পারবেন না।” করোনা ভাইরাসের আশঙ্কা যতদিন না যাবে ততদিন এই ব্যবস্থা চালু থাকবে বলে জানিয়েছে মিশন কর্তৃপক্ষ। তবে দিনের বিভিন্ন সময়ে আলাদাভাবে এসে মঠে পুজো দিতে পারবেন তাঁরা ঘোষণা করে কামারপুকুর মঠ ও মিশন কর্তৃপক্ষ। এই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আগে যারা আজ মঠে যান তাঁদের অবশ্য আজ প্রসাদ দেওয়া হয়। কামারপুকুর মঠের অধ্যক্ষ স্বামী লোকত্বরা নন্দজি মহারাজ বলেন, “করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য গোটা রাজ্যেই নানা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
মানুষের নিরাপত্তায় সবার প্রথমে বেলুড় মঠে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। বেলুড়মঠের নরনারায়ণ সেবা বন্ধ করা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে প্রসাদ বিতরণ। সেই পথ অনুসরণ করেই কামারপুকুর মঠেও করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সতর্কতা জারি হল। আপাতত ১৪ই এপ্রিল পর্যন্ত এই নির্দেশিকা জারি থাকছে। পরবর্তী পরিস্থিতিতে আবার সিদ্ধান্ত জানানো হবে মঠের তরফ থেকে। তবে কালীঘাট, তারাপীঠ, দক্ষিণেশ্বরে মন্দির বন্ধ করা না হলেও সতর্কতা বজায় রাখতে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.