স্টাফ রিপোর্টার: দেশের নার্সিং শিক্ষার চূড়ান্ত নিয়ামক সংস্থা ইন্ডিয়ান নার্সিং কাউন্সিলের (Indian Nursing Council) অনুমোদন ছাড়াই পাঠ্যক্রম চলছিল কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালের নার্সিং কলেজে। এমনকী চলতি শিক্ষাবর্ষে ছাত্রী ভর্তি নেওয়া হয়েছিল। এই ঘটনার প্রতিবাদে এবং কলেজের স্বাভাবিক পঠনপাঠন চালুর দাবিতে ধুন্ধুমার কাণ্ড স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে। সোমবার দুপুরে এই ঘটনার জেরে স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কাজকর্মও ব্যাহত হয়েছে বলে অভিযোগ। পরে প্রো ভিসির আশ্বাসে অবস্থা স্বাভাবিক হয়।
অভিযোগ, কল্যাণীর জেএনএম কলেজ হাসপাতালের অনুমোদন ২০২২ সালে বাতিল করে ইন্ডিয়ান নার্সিং কাউন্সিল। যদিও ওয়েস্ট বেঙ্গল নার্সিং কাউন্সিলের অনুমোদন ছিল। ফলে ২০২৩ সালে ২০২ জনকে তিন বছরের নার্সিং কোর্সের পঠনপাঠনের জন্য কল্যাণী জেএনএমে ভর্তি করা হয়। কিন্ত চলতি বছরেই নিয়ম চালু হয় ইন্ডিয়ান নার্সিং কাউন্সিলের অনুমোদন না থাকলে রাজ্য নার্সিং কাউন্সিলও অনুমোদন প্রত্যাহার করে নেবে। সেই অনুয়ায়ী পদক্ষেপও করা হয়েছে। নার্সেস ইউনিটির তরফে মিলিয়া খাতুনের অভিযোগ, ‘‘গতবছর ভর্তির সময় লিখিয়ে নেওয়া হয় ছাত্রীদের হস্টেল থাকবে না। ইন্ডিয়ান নার্সিং কাউন্সিলেরও অনুমোদন নেই। সেই সময় ছাত্রীরা বিষয়টি খতিয়ে না দেখলেও ওয়েস্ট বেঙ্গল নার্সিং কাউন্সিল অনুমোদন প্রত্যাহারের পর অথৈ জলে পড়েছে ছাত্রীরা।’’
মিলিয়ার অভিযোগ, গত কয়েকমাস ধরে নিয়মিত স্বাস্থ্য ভবনে অভিযোগ জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। এদিন স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজির হন অন্তত ১৫০ নার্সিং পড়ুয়া। মূল ফটক বন্ধ থাকলেও তুমুল বিক্ষোভের চাপে গেট খুলে দিতে বাধ্য হয় নিরাপত্তা কর্মীরা। প্রায় সব ছাত্রী হাজির হন প্রো ভিসির চেম্বারের বাইরে। চিৎকার করে স্লোগান দেওয়া হয়। ছাত্রী বিক্ষোভে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কাজ কিছুক্ষণের জন্য ব্যাহত হয়। মিলিয়া-সহ ছাত্রী নেতৃত্বের দাবিতে একসময় প্রো-ভিসি ডা.দেবাশিষ বসু বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, ১৩ তারিখ স্বাস্থ্য অধিকর্তা কল্যাণী কলেজ অফ নার্সিং সরেজমিনে দেখতে যাবেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.