Advertisement
Advertisement

Breaking News

Kalyani AIIMS

কল্যাণী এইমসের চাকরি দুর্নীতি: সিআইডির তলব এড়ালেন বিজেপি বিধায়কের পুত্রবধূ

প্রভাব খাটিয়ে নদিয়ার কল্যাণীর এইমসে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে আটজনের বিরুদ্ধে।

Kalyani AIIMS scandal: BJP MLA's daughter-in-law skips CID summon | Sangbad Pratidin
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:July 8, 2022 9:35 pm
  • Updated:July 8, 2022 9:35 pm  

বিপ্লব দত্ত,কৃষ্ণনগর: প্রভাব খাটিয়ে নিজের পুত্রবধূ অনুসূয়া ঘোষকে কল্যাণীর এইমসে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল চাকদহ বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষের বিরুদ্ধে। যার প্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনুসূয়াকে নোটিস পাঠিয়ে শুক্রবার তলব করে সিআইডি। কিন্তু অনুসূয়া ঘোষ এদিন সিআইডির (CID) দপ্তরে যাননি। তাঁর তরফে সিআইডি অফিসে হাজিরা দেওয়ার জন্য আরও দশদিন সময় চেয়ে নেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে।

প্রভাব খাটিয়ে নদিয়ার কল্যাণীর এইমসে (Kalyani AIIMS) নিজেদের আত্মীয়দের চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। এমন অভিযোগ ওঠে বিজেপির দুই সাংসদ এবং দুই বিধায়ক-সহ মোট আটজনের বিরুদ্ধে। এই মামলায় জুনের প্রথম দিকেই তদন্তভার হাতে নিয়েছিল সিআইডি। কল্যাণী থানার (Kalyani AIIMS) পুলিশ ওই ৮ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর সংক্রান্ত যাবতীয় নথিপত্র সিআইডির হাতে তুলে দিয়েছিল। আজ, শুক্রবার সিআইডির আধিকারিকদের এক প্রতিনিধি দল কল্যাণীর এইমসে আসে। যদিও তার আগে সিআইডির আধিকারিকদের ওই প্রতিনিধি দল হরিণঘাটায় ঈশানী জানা নামে এক মহিলার বাড়িতেও যায়। এইমসে কর্মরত ওই মহিলার বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলে সিআইডির ওই প্রতিনিধি দল। সেখান থেকে ওই প্রতিনিধি দল বেলা ১২টা নাগাদ কল্যাণী এইমসে যায়। এইমস সূত্রে জানা গিয়েছে, তারা এইমস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে। এফআইআর সংক্রান্ত বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়। তারপর কলকাতায় ফিরে যান সিআইডির আধিকারিকরা। যদিও কী কথা হয়েছে, সে বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ এইমস কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: শিনজো আবের মৃত্যুতে বাতিল এনডিএ’র রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর কলকাতা সফর]

এদিন হরিণঘাটা থানার বড়জাগুলির বঙ্কিম ঘোষের বাড়িতে কাউকে পাওয়া যায়নি। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, বঙ্কিম ঘোষ ও তাঁর পুত্রবধূ কলকাতার কোথাও রয়েছেন। ফলে অনুসূয়া ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এদিন সকাল থেকে বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য বহুবার ফোনও করা হয়েছিল। দুপুর পর্যন্ত ফোন সুইচড অফ ছিল। তার পর বঙ্কিম ঘোষের ফোনে যতবারই ফোন করা হয়, তিনি মিটিংয়ে ব্যস্ত রয়েছেন বলে ফোন ধরে একজন জানিয়ে দেন। এদিন সন্ধের পরও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর হওয়ার পর বঙ্কিম ঘোষ বলেছিলেন, “অভিযোগ যে কেউ করতে পারে। আইন আইনের পথে চলবে। তদন্ত যখন হবে, যদি আমাকে ডাকে আমি মাথা উঁচু করে যাব। এবং মাথা উঁচু করেই বেরবো।”

যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, এইমসের চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে বিজেপির কেউ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নন। বিজেপি নেতাদের পালটা অভিযোগ ছিল, এসএসসি পরীক্ষার দুর্নীতি থেকে জনগণের দৃষ্টি ঘোরাতেই এইমসে চাকরির দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে।

[আরও পড়ুন: জল্পনাতেই সিলমোহর, বাংলা ছেড়ে ক্রিকেটার ও মেন্টর হিসেবে ত্রিপুরাতে সই ঋদ্ধিমানের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement