অভিষেক চৌধুরী,কালনা: বোর্ড মিটিং চলাকালীন কাউন্সিলরদের কাপ ছুড়ে মারার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেস দলেরই অপর এক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে।কালনা পুরসভায় বুধবারের এই ঘটনায় এক কাউন্সিলর তথা শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় আহত হলে তাকে কালনা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।এই ঘটনার পরেই অভিযুক্ত কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে এসটিকেকে রোড অবরোধ করেন তৃণমূল কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন কর্মী।যদিও এই অভিযোগ সত্য নয় বলেই দাবি করেন কাউন্সিলর অনিল বসু।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে,বুধবার দুপুরে কালনা পুরসভায় বোর্ড মিটিং চলছিল।মিটিংয়ের শেষ দিকে শহরের ১৭ নং ওয়ার্ডের নিকাশী নালা পরিস্কারের বিষয় নিয়ে তৃণমূল কাউন্সিলরদের দুই পক্ষের মধ্যে বাদানুবাদ থেকে কাপ ছুড়ে মারার অভিযোগ ওঠে।এই ঘটনার প্রতিবাদে এদিন সন্ধ্যায় আগুন জ্বালিয়ে কালনা এসটিকেকে রোড অবরোধ করে তৃণমূলের একাংশ।পরে পুলিশি আশ্বাসে অবরোধ ওঠে। উপরিউক্ত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তাপস দাসের অভিযোগ,“বৈঠকের শেষের দিকে দুই কাউন্সিলর অনিল বসু,সন্দীপ বসু আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ দিলে আমি তার প্রতিবাদ করি।এরপরেই আমাকে চেয়ার ছুড়ে মারতে আসে।একের পর এক কাপ ছুড়তে থাকলে আমার গায়ে লাগে।কাউন্সিলর রবীন্দ্রনাথ চ্যাটার্জীর দাঁতে ও কপালে লাগলে তিনি সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন।এরপরেই ওনাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাই।”
তাঁর আরও অভিযোগ,“আমার ওয়ার্ডে হাইড্রেনগুলি ঠিকমত পরিস্কার করা হয় না।৪ঠা নভেম্বর চেয়ারম্যানকে একটি লিখিতভাবে অভিযোগ জানাই।এরপরেও তা না হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী ও মহকুমাশাসককে একটি মেল করি।এই কারণেই আমার উপর চড়াও হয় দুই কাউন্সিলর।থানায় অভিযোগ জানানো হবে।”যদিও এই ঘটনা সত্য নয় বলে জানান কাউন্সিলর অনিল বসু।তিনি বলেন“অভিযোগ মোটেও ঠিক নয়।কারণ ওই কাউন্সিলরদের আমি সম্মান করি।”তিনি আরও জানান,“শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখলোও ওই কাউন্সিলর বিভিন্ন জায়গায় আমার নামে অভিযোগ করেন।এই মিটিংয়ে সেই আলোচনা উঠতেই ওই কাউন্সিলর টেবিল চাপড়ে অকথ্য ভাষায় আমাকে গালিগালাজ করেন।”কালনা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তপন পোড়েল বলেন,“বৈঠকে শেষ পর্যন্ত আমি ছিলাম না।খোঁজ নিয়ে দেখছি।” অন্যদিকে চেয়ারম্যান আনন্দ দত্তকে ফোন করা হলে উনি ফোন কেটে দেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.