ছবি: প্রতীকী।
সৌরভ মাজি, বর্ধমান: উপসর্গযুক্ত অসুস্থ বৃদ্ধাকে হাসপাতালে ভরতির পর লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু রিপোর্ট আসার আগেই তাঁকে ছুটি দেওয়া হয়। কয়েকদিন পর তিনি ফের অসুস্থ হলে আবার ভরতি করা হয়। এরপর রবিবার মৃত্যু হয় তাঁর। কিন্তু বেশ কয়েকদিন পেরিয়ে গেলেও মেলেনি করোনা (Corona Virus) পরীক্ষার রিপোর্ট। আর রিপোর্ট ছাড়াই বৃদ্ধার দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেয় হাসপাতাল। স্বাভাবিক নিয়ম মেনে দাহ করা হয় দেহ। এরপর সোমবার বৃদ্ধার রিপোর্ট আসতেই বাধে গোল। জানা যায়, তিনি কোভিড পজিটিভ ছিলেন। এরপরই কালনা (Kalna) মহকুমা হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলছে রোগীর পরিবার-পরিজনরা।
প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, রিপোর্ট আসার আগেই কেন দেহ ছেড়ে দেওয়া হল। হাসপাতালের সাফাই, রিপোর্ট আসতে এত দেরি হলে তাঁরা কী করবেন। মৃতদেহ দীর্ঘদিন সংরক্ষণের কোনও ব্যবস্থাই নেই সেখানে। দেহ পচে যাওয়ার সম্ভাবনা। ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন হাসপাতাল সুপার কৃষ্ণচন্দ্র বড়াই। তবে করোনা টেস্টের রিপোর্ট আসতে এত বিলম্ব হওয়া বা রিপোর্ট আসার আগেই মৃতদেহ পরিজনদের হাতে তুলে দেওয়ার বিষয়ে স্বাস্থ্যকর্তারা অবশ্য কিছু বলতে চাইছেন না। পূর্ব বর্ধমানের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণবকুমার রায়ের সঙ্গে সোমবার রাতে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ঘটনার কথা তাঁর জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছেন। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই মৃতের সংস্পর্শে যারা এসেছিলেন তাঁদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে হাসপাতালের আইসিইউ।
প্রসঙ্গত, কালনার পূর্বসাতগাছিয়ার বাসিন্দা বছর সত্তরের ওই বৃদ্ধা গত মাসে অসুস্থ হলে তাঁকে কালনা মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করা হয়। করোনার উপসর্গ থাকায় তখনই তাঁর লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। কয়েকদিন পর বৃদ্ধা কিছুটা সুস্থ হলে হাসপাতাল থেকে ছেড়েও দেওয়া হয়। গত ৪ আগস্ট বৃদ্ধা ফের অসুস্থ হলে তাঁকে আবার হাসপাতালে ভরতি করা হয়। আইসিইউতে রাখা হয়েছিল তাঁকে। রবিবার সেখানে মৃত্যু হয় তাঁর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.