রিন্টু ব্রহ্ম, কালনা: কন্যাসন্তান জন্মানোয় গৃহবধূকে গঞ্জনার সীমা ছিল না। তাতেও ক্ষান্ত হয়নি শ্বশুরবাড়ির লোকজন। শেষপর্যন্ত গৃহবধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। মৃতের নাম মানুয়া খাতুন (১৯)। এই ঘটনায় শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে মেয়েক পুড়িয়ে মারার অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতের অভিভাবকরা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে কালনার নাদনঘাটে।
মানুয়ার বাপের বাড়ি কালনা থানার হাতিপোতা গ্রামে। বছর খানেক আগে ইসলামপুরের রফিকুল মণ্ডলের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁদের এক কন্যাসন্তানও রয়েছে। ইতিমধ্যেই দেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। সেই সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন মৃত গৃহবধূর বাবা সরিফুদ্দিন শেখ। তিনিই পুলিশকে জানান, শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁর মেয়েকে পুড়িয়ে মেরেছে। এই বিষয়ে নাদনঘাট থানাতেও তাঁরা বিষয়টি জানিয়েছেন। মৃতদেহ সৎকারের পর তাঁরা অভিযোগ দায়ের করবেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গৃহবধূর কন্যাসন্তান জন্মানোর পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার বাড়ছিল। ফের সন্তানসম্ভবা হলে মেয়েই জন্মাবে, এই বলে নতুন করে গঞ্জনা শুরু হয়। দিনের পর দিন চলত গঞ্জনা। অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে গৃহবধূকে মারধরের পর গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। রাতেই অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় মানুয়াকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে এদিন সকালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। দুপুরে ময়নাতদন্তের পর দেহ বাপের বাড়ির সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
মৃত গৃহবধূর বাবা সরিফুদ্দিন এদিন দাবি করেন, তাঁর মেয়ের প্রথম সন্তান মেয়ে হয়েছিল বলে শ্বশুর সামসুল মণ্ডল, শাশুড়ি আকুলি বিবি, স্বামী রফিকুল ও দেওর আনারুল নানাভাবে মেয়েকে গঞ্জনা দিত। অত্যাচারও করত বলে অভিযোগ করেছেন সরিফুদ্দিন। জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, এখনও এনিয়ে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। লিখিত অভিযোগ দায়ের হলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.