রাজা দাস, বালুরঘাট: আকাশে তারা থাকতে থাকতেই হয় পুজো ও বিসর্জন। বালুরঘাটের (Balurghat) রঘুনাথপুর-কালিকাপুরের এই পুজো ঘিরে তুঙ্গে স্থানীয়দের উন্মাদনা। যা পরিচিত তারাকালী পুজো বলে।
কথিত আছে, ডাকাতরা ডাকাতি করতে যাওয়ার আগে শতাব্দী প্রাচীন এই কালীর পুজো করত। রাতের আকাশে তারা থাকতে থাকতেই ডাকাতরা ফিরে গিয়ে কালী (Kali Puja 2023) প্রতিমার বিসর্জন দিত। ডাকাতদের সেই পুজো এখন এলাকার সাধারনের। এবার এলাকার বাসিন্দারা চাঁদা তুলে পুজো করছে। তবে এখানে কালীর স্থায়ী কোনও মন্দির নেই। মণ্ডপের খোলা স্থানটিতে খড়ের অস্থায়ী ছাওনি দেওয়া হয়। পুজো শেষ হতেই ছাউনি খুলে ফেলাই রীতি।
জানা গিয়েছে, এখানে বৈষ্ণব মতে পূজিতা হন মা কালী। স্থানীয় বাসিন্দা দিলীপকুমার মুন্সি জানান, তারা পুজো শুরুর সঠিক সময় জানেন না। তার জন্মের আগে থেকেই তাঁদের বাবা-কাকারাও এই পুজো করতেন। তাদের মুখেই শোনা যায়, এই পুজো করে ডাকাতরা ডাকাতি করতে যেত। একসময় লোকের অভাবে বাংলার বিভিন্ন প্রাচীন পুজোগুলো প্রায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। ঠিক সেসময় ডাকাতের চালু করা এই পুজো বারোয়ারী রূপ নিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.