সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস সত্যি করে সপ্তাহের শেষ দিনে কালবৈশাখী (Kalbaisakhi) দাপট দেখাল দক্ষিণবঙ্গে। রবিবার দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ বীরভূমের বিভিন্ন জায়গায় আছড়ে পড়ে কালবৈশাখী। টানা ১৫ মিনিট ধরে দমকা হাওয়ার দাপটের পর শুরু হয় বৃষ্টি। ঝড়ের গতি এতটাই বেশি ছিল যে বোলপুর-সহ একাধিক এলাকায় গাছ উপড়ে পড়ে। বোলপুরের (Bolpur)চিত্রা মোড়ে গাছ উপড়ে পড়ে রাস্তা আটকে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। বোলপুর-শান্তিনিকেতন রোডের সুপার মার্কেটের সামনেও গাছ পড়ে গিয়েছে। ছুটির দিন বিকেলে আবহাওয়ার এমন বদলে খুশি বোলপুরবাসী। ঝড়বৃষ্টির কারণে রাঙামাটির দেশে তাপমাত্রার পারদ অনেকটাই কমল বলে জানাচ্ছেন বাসিন্দারা।
পূর্বাভাস ছিলই। শেষ চৈত্রের তীব্র দাবদাহের মাঝে স্বস্তির খবর দিয়ে আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছিল, সপ্তাহান্তে কালবৈশাখী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ২৪ ঘণ্টা না কাটতেই দক্ষিণবঙ্গের কোথাও কোথাও আছড়ে পড়ল মরশুমের প্রথম কালবৈশাখী। বীরভূম, বর্ধমানের কয়েকটি অংশে প্রবল ঝড় (Storm)-বৃষ্টি শুরু হয়। আবহাওয়া দপ্তরের হিসেব অনুযায়ী, ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে থাকে। পাশাপাশি, বৃষ্টিও শুরু হয়। এদিকে, পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রামে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে শিলাবৃষ্টি শুরু হয় বিকেলে। এর জেরে বোরো চাষে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। গুসকরা শহরেও চলে শিলাবৃষ্টি। বর্ধমান শহরেও বিকেলের পর ঝোড়ো হাওয়ার পাশাপাশি শুরু হয় শিলাবৃষ্টি। আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, আগামী ৩ ঘণ্টা এভাবেই দাপট দেখাবে কালবৈশাখী। দাপট দেখাতে পারে কালবৈশাখীও।
নির্বাচনী আবহে এমনিতেই তপ্ত হয়ে উঠেছে বঙ্গের আবহাওয়া। এ বছর চৈত্রের শেষে তুলনায় তাপমাত্রার পারদ অনেকটাই চড়ে গিয়েছে। পাশাপাশি আর্দ্রতাও বেড়েছে। নিত্যদিনের কাজে বেরিয়ে নাকাল হচ্ছেন সবাই। এমনই সময়ে কালবৈশাখীর পূর্বাভাস পেয়েই খুশি হয়ে উঠেছিলেন গরমে দগ্ধ হতে থাকা মানুষজন। এরপর ছুটির দিন বিকেলে সেই পূর্বাভাস সত্যি করে কালবৈশাখীর আবির্ভাবে কার্যত স্বস্তি ফিরল। এর জেরে তাপমাত্রার পারদ অনেকটাই কমেছে। তবে দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলা এদিন কালবৈশাখীর ছোঁয়া পেলেও কলকাতা-সহ বাকি জেলায় কবে তাপমাত্রার পারদ নেমে স্বস্তি ফিরবে, সেই অপেক্ষাতেই দিন গুনছেন সকলে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.