প্রতীকী ছবি
সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: কাজের ‘টোপ’ দিয়ে এক গৃহবধূকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে আটকে রেখে দিনের পর দিন ধর্ষণের অভিযোগ। সুযোগ বুঝে কোনওরকমে দিল্লি থেকে পালিয়ে এসেছেন ওই যুবতী। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে ওই অভিযুক্তকে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপে। ধৃত যুবক কি নারীপাচারের সঙ্গে জড়িত? সেই তথ্য জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, পাথরপ্রতিমার বাসিন্দা ধৃত যুবকের নাম টোটন দাস। কাকদ্বীপ এলাকাতে ওই তরুণীর বাড়ি। ওই গৃহবধূর কাজের প্রয়োজন ছিল। সেই কথা জানতে পেরেই ওই বধূকে দিল্লিতে কাজ আছে বলে ‘টোপ’ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। কাজের প্রয়োজনে ওই গৃহবধূ টোটনের সঙ্গে দিল্লিতে যান। আর সেখানে গিয়েই টোটনের আসল রূপ বেরিয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। ওই যুবতীকে কাজ তো দেওয়াই হয়নি। অভিযোগ, একটি বাড়িতে আটকে রেখে তাঁকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করা হয়। শুধু তাইই নয়, অত্যাচারের সময়ের ভিডিও, ছবি মোবাইল বন্দি করে রাখা হয়। ওই বাড়ি থেকে পালানোর চেষ্টা করলে সেই ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়া হবে বলেও ভয় দেখানো হয় বলে অভিযোগ।
এই অবস্থায় অত্যাচার চলতে থাকে ওই গৃহবধূর উপরে। এর মধ্যেই একদিন সুযোগ বুঝে দিল্লির ওই বাড়ি থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় ওই নির্যাতিতা। দিন কয়েক আগে কোনওরকমে কাকদ্বীপে নিজের বাড়ি ফিরে আসেন তিনি। এদিকে অভিযুক্ত টোটন ওই বধূকে ভয় দেখাতে থাকে। মোবাইলে তুলে রাখা ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সেই কথা জানতে পেরেই পাথরপ্রতিমা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই নির্যাতিতা। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ টোটনকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতকে কাকদ্বীপ আদালতে তোলা হয়। বিচারক ধৃতকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
ধৃত যুবক কি নারীপাচারের সঙ্গে জড়িত? আড়কাঠি হিসেবে নারী ও পাচারের সঙ্গে জড়িয়ে? এর আগেও কি এমন কাজ ঘটিয়েছে টোটন? সেসব প্রশ্ন উঠছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.