ফাইল ছবি
দেবব্রত মণ্ডল ও সুরজিৎ দেব: আয়লার ক্ষত এখনও বর্তমান। তার মধ্যেই ফের ধ্বংসলীলা। দশ বছর আগের স্মৃতি ফের উসকে গেল শনিবার রাতে। আতঙ্কে গোটা দিন কাটালেন সুন্দরবনবাসী। আর রাতের ঝড় কারও উড়িয়ে নিয়ে গেল ঘর। কারও বা ঘরের চাল। ফের গৃহহীন হলেন অনেকে। বুলবুলের তাণ্ডবে বিভিন্ন দ্বীপের কয়েক লক্ষ মানুষ হলেন সহায় সম্বলহীন। তবে সঠিক ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি। দশ বছর আগে আয়লা আসতে ঠিক একই রকম ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল সুন্দরবনে।
বুলবুল ঝড় আসার আগাম সতর্কতা হিসাবে বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছিল রাজ্য সরকার। বিশেষ করে সুন্দরবন এলাকায় বহু মানুষকে আগেই সরানো হয়েছে নিচু জায়গা থেকে। গোসাবা ব্লকের বিভিন্ন এলাকার থেকে এইসব মানুষকে সরিয়ে আনা হয়েছে বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে। অন্যদিকে সাগর, পাথরপ্রতিমা, নামখানা, কাকদ্বীপ, ফ্রেজারগঞ্জ, কুলতলি-সহ বিভিন্ন এলাকায় চালানো হচ্ছে বিশেষ নজরদারি। জেলা প্রশাসনের তরফে প্রতিটি ব্লকে খোলা হয়েছিল কন্ট্রোল রুম। এদিকে গোসাবা ব্লকের ফেরি বন্ধ থাকার কারণে শনিবার বহু মানুষকে বিক্ষোভ দেখাতে দেখা যায় গোসাবা থানায়। শনিবার ও রবিবার সুন্দরবনের পর্যটক নৌকার চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সুন্দরবনের জঙ্গলের মধ্যে পর্যটকদের প্রবেশ এবং মৎস্যজীবীদের মাছ ধরার সমস্তটাই আছে এই নিষেধাজ্ঞার মধ্যে। ইতিমধ্যেই যে সমস্ত পর্যটক সুন্দরবনে আছেন তাঁরা পাখিরালয়, দয়াপুর-সহ বিভিন্ন এলাকায় আটকে পড়েছেন। সেই সমস্ত এলাকায় পর্যটকদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে টুর অপারেটরদের তরফ থেকে।
জেলা প্রশাসনের তরফে বিভিন্ন জায়গায় পাউচ প্যাকেটে জল মজুত রাখা হয়েছে। রাখা হয়েছে পর্যাপ্ত খাবারও। শনিবার দুপুরে ঝড়ের দাপটে বেশ কিছু এলাকায় মাটির বাড়ি ধসে গেছে এবং ভেঙে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। বিভিন্ন এলাকায় গাছের ডাল পড়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরে অবশ্য সেই সমস্ত ডাল কেটে রাস্তা পরিষ্কার করার কাজ করে প্রশাসনের কর্মীরাই। রাতে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তেই সুন্দরবনে ফের ফিরে আসে ঠিক দশ বছর আগের স্মৃতি।
দেখুন ভিডিও:
ভিডিও: পিণ্টু প্রধান
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.