শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: লিখিত পরীক্ষায় পাশ, মৌখিকেও উত্তীর্ণ। তারপর নিয়ম মেনে স্কুল শিক্ষিকার চাকরি পেয়েছেন। তা সত্ত্বেও কীভাবে উত্তরপত্রে কারচুপি নিয়ে এসএসসি-র (SSC) প্রকাশিত তালিকায় তাঁর নাম এল, বুঝতেই পারছেন না উত্তর দিনাজপুরের (North Dinajpur) শিক্ষিকা তথা বিদায়ী জেলা সভাধিপতি কবিতা বর্মন। তাঁর দাবি, কোনও কারচুপি নয়, নিয়মমাফিক তিনি চাকরি পেয়েছিলেন। এখন এসএসসি ওই তালিকায় তাঁর নাম প্রকাশ করে থাকলে প্রমাণ করার দায় তাদেরই।
একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta HC) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যে ৯০৭ জনের বিকৃত উত্তরপত্র সিবিআই (CBI)উদ্ধার করেছিল, তা প্রকাশ করতে হবে। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট উত্তরপত্র প্রকাশে স্থগিতাদেশ দেয়। শুধু শিক্ষকদের নামের তালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সেই তালিকা প্রকাশ করেছে এসএসসি। তাতে ৩০০ নম্বরে রয়েছে কবিতা বর্মনের নাম। তিনি উত্তর দিনাজপুরের বিদায়ী জেলা সভাধিপতি।
কবিতাদেবীর দাবি, ২০১৬ সালে তিনি এসএসসি পরীক্ষা দেন। লিখিত পরীক্ষা ও মৌখিকে পাশ করার পর কাউন্সেলিং হয়, প্যানেলে নাম ওঠে। এরপর ২০১৮ সালে তিনি নিয়োগপত্র হাতে পেয়ে বালিজর হাই স্কুলে বাংলার শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দেন। সে বছরই অবশ্য কবিতাদেবী জেলা পরিষদের সভাধিপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। এরপর আর সেভাবে স্কুলে যাওয়া হয়নি তাঁর। কিন্তু তার মানে কোনওভাবেই এই নয় যে উত্তর কারচুপি করে তিনি চাকরি পেয়েছেন। এসএসসি-র এই উত্তরপত্রে কারচুপির তালিকায় নাম থাকা কবিতাদেবী নাকি সাদা খাতা জমা দিয়েছিলেন। তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি সাফ জানান, মোটেই তা ঠিক নয়। তিনি যোগ্যতা প্রমাণ করে তবেই শিক্ষিকার চাকরি পেয়েছেন। এবার এই অভিযোগ উঠলে আদালতেই সব প্রমাণ হবে, এভাবেই কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন উত্তর দিনাজপুরের বাংলা ‘দিদিমনি’।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.