সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে বক্তব্য রাখেন বহু পোড় খাওয়া নেতারাই। কিন্তু তাঁদের মধ্যেই নজর কেড়ে নেন কবীর সুমন। গতবারও মদন মিত্রকে রাজনৈতিক বন্দি হিসেবে উল্লেখ করে সাড়া ফেলেছিলেন। এবারও বিজেপি সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে তীব্র কটাক্ষে বিঁধে প্রচারের আলো নিজের দিকে ঘুরিয়ে নিলেন জাতীয় পুরস্কারজয়ী সংগীতশিল্পী।
[ একুশের মঞ্চে জাতীয় সংগীতের অবমাননা মুখ্যমন্ত্রীর, অভিযোগে সরব দিলীপ ]
কী বললেন সুমন? গান গাওয়ার জন্যই তাঁকে মঞ্চে ডাকা হলে শুরুতে সংক্ষেপে দু’চার কথা বলেছিলেন তিনি। জানান, “বিজেপি বলে একটা দল আছে। ওরা মূর্খ। ওদের নিয়ে অত রাগারাগি করার দরকার নেই। কেননা ওরা অত রাগারাগির যোগ্যই নয়। ওরা ভাবে ওরা হিন্দুদের চেনে, কিন্তু ওরা কিচ্ছু জানে না। গুরুত্ব দিতে হবে না, শুধু ওদের রুখে দিন।” এর পরই কাজী নজরুল ইসলামের গান ধরেন সুমন। সঙ্গে বাজাতে শুরু করেন হারমোনিকা। সে সময় পাশে এসে দাঁড়ান নচিকেতা চক্রবর্তীও। সাংস্কৃতিক বাতাবরণে দু’জনের বিরোধিতা নিয়ে নানা গল্পকথার জন্ম হয়েছে।এদিনের মঞ্চে সে সব যেন ধুয়েমুছে সাফ হয়ে গেল। গানের মধ্যেই হারমোনিকা বাজানো প্রসঙ্গে সুমনের বক্তব্য, “বিজেপির কারা কারা আছেন হারমোনিকা বাজাতে চেষ্টা করবেন?” তারপরই তাঁর কটাক্ষ, “রূপা না কে একজন আছেন? যাঁর কথায় কথায় ধর্ষণ হয়। একবার চেষ্টা করবেন হারমোনিকা বাজাতে?” প্রসঙ্গত ক’দিন আগেই বিজেপি নেত্রী বলেছিলেন, বাইরে থেকে কোনও মহিলা বাংলায় পা দিলে পনেরো দিনের মধ্যেই তিনি ধর্ষিতা হবেন। কড়া প্রতিক্রিয়া দেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তা নিয়ে পালটা এফআইআর দায়ের করেন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। সুমনের এই মন্তব্যে ফের শোরগোল পড়েছে। যদিও বিজেপি নেতৃত্বের তরফে এখনও কেউ এর কোনও জবাব দেননি।
[ শহিদের মঞ্চ থেকে ‘বিজেপি ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনের ডাক মমতার ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.