রমেন দাস: উচ্চাশা নিয়ে জেলা থেকে শহরের নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়তে আসা ছাত্রের অকালমৃত্যুর রেশ কাটেনি এখনও। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) হস্টেলে প্রথম বর্ষের ছাত্রের মর্মান্তিক প্রাণহানির ঘটনা নিয়ে কাটাছেঁড়া এখনও চলছে। সিনিয়রদের র্যাগিংই কি দায়ী নদিয়ার বগুলার ছাত্রের অকালপ্রয়াণের নেপথ্যে? এ প্রশ্নের উত্তর নিশ্চিতভাবে পাওয়া না গেলেও সন্দেহের তির তীব্র হচ্ছে। তবে তাঁর মৃত্যু অনেক বড় ধাক্কা দিয়েছে দেশের নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিকাঠামোয়, তা নিশ্চিত। মাসখানেক আগে প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুর এতদিন কেটে যাওয়ার পর সিসিটিভি (CCTV Camera) বসছে বিশ্ববিদ্যালয়। সেই খবরে ছাত্রের বাবার আক্ষেপ, ”এটা আগে বসানো হলে সন্তানকে হারাতে হতো না।”
শনিবার থেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বসছে সিসিটিভি। বিভিন্ন গেটে বসছে নজরদারি ক্যামেরা। এদিন ওয়েবেলের তরফে আধিকারিকরা এসে কাজ শুরু করেছেন। দ্রুতই গোটা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে মুড়ে ফেলা হবে সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে। হস্টেলের গেটেও তা বসবে। পড়ুয়াদের গতিবিধি, ক্যাম্পাসে (Campus) প্রবেশের বিষয়ে নজরদারি সহজ হবে। রুখে দেওয়া যাবে অনেক বিপদই। এমনই আশা সকলের। বিশেষত বিশ্ববিদ্যালয়ে চত্বরে বহিরাগতদের ঢোকা খুব সহজেই চোখে পড়বে।
এই খবরটি কানে পৌঁছেছে মৃত ছাত্রের বাবার কানেও। এ বিষয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে ফোনে যোগাযোগ করা হয়েছিল ‘সংবাদ প্রতিদিন’-এর তরফে। তিনি জানালেন, ”শুনেছি সিসিটিভি বসানো হচ্ছে। আমি ছেলেকে হারানোর পর এটা হচ্ছে। যদি আগে বসানো হতো, তাহলে আমার সন্তানকে হারাতে হতো না। বিশেষ করে হস্টেলের মধ্যে অকাজ-কুকাজ যে হচ্ছে, তা ধরা যেত সিসিটিভি থাকলে। ছেলেটার উপর কী অত্যাচার হয়েছে, কী নোংরা কীর্তিকলাপ হয়েছে, তা সবাই দেখতে পারতেন, জানতে পারতেন। এতদিন পর টনক নড়ল! যাই হোক, তবু আমি চাইব, এই সিসিটিভি ভালভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হোক। আর কারও বাবা-মাকে এভাবে যেন সন্তানদের হারাতে না হয়।” আসলে সিসিটিভির নজরদারি তাঁর সন্তান ফেরাতে না পারুক, আর কারও সন্তানকে কেড়ে নেওয়ার পথ রুদ্ধ করতে পারলে সেটাই সান্তনার বিষয় হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.