দেবব্রত মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। কিন্তু, প্রেমিকের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় তাকে দেখে ফেলেছিল ছেলে। তাই নিজের সন্তানকেই খুন করল এক মহিলা! প্রমাণ লোপাটের জন্য আবার দেহটি বস্তাবন্দি করে রাখা দেওয়া হয়েছিল খড়ের গাদায়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে বালক খুনে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল। পুলিশের দাবি, জেরায় ছেলেকে খুনের কথা স্বীকার করেছে ওই মহিলা। অভিযুক্ত ও তাঁর প্রেমিককে গ্রেপ্তার করেছে জয়নগর থানার পুলিশ।
[নিপার আতঙ্ক, মশারি দিয়ে ঢাকা হল আমগাছ]
জয়নগরের রাজাপুর মণ্ডলপাড়া এলাকায় স্বামী ও ছেলেকে নিয়ে থাকতেন বছর পঁচিশের গৃহবধূ সাগরিকা মণ্ডল। ছেলে সাধনের বয়স মোটে ৭ বছর। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে বেরিয়েছিল সে। আর বাড়ি ফেরেনি। শুক্রবার জয়নগর থানায় সাধন মণ্ডলের নামে নিখোঁজ ডায়েরি করেন পরিবারের লোকেরা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সোমবার সকালে সাধনদের বাড়ির কাছে একটি খড়ের গাদা থেকে দুর্গন্ধ বেরোচ্ছিল। খবর দেওয়া হয় জয়নগর থানায়। খড়ের গাদা থেকে ওই বালকের বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এলাকায় তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। মৃতের বাবা গোষ্ঠ মণ্ডল পুলিশকে জানিয়েছিলেন, তাঁদের কোনও শক্র নেই। তাহলে নেহাতই বালক সাধনকে কে নৃশংসভাবে খুন করল? কেনই বা খুন হতে হল তাকে? রহস্যের পর্দাফাঁস হল মঙ্গলবার।
[কাটোয়া থেকে উদ্ধার মরা পাখি ও বাদুড়, ছড়াল নিপার আতঙ্ক]
পুলিশ জানিয়েছে, অন্য একজনের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছিল সাধনের মা সাগরিকা। বৃহস্পতিবার স্বামীর অনুপস্থিতিতে বাড়ি এসেছিল তার প্রেমিক। দু’জনকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলে সাধন। তদন্তকারীদের দাবি, বিবাহ-বর্হিভূত সম্পর্ক জানাজানি হয়ে যাওয়ার ভয়েই সন্তানকে খুন করেছে ওই গৃহবধূ ও তার প্রেমিকও। ঘটনার পর ওই বালকের দেহটি বস্তাবন্দি করে খড়ে গাদায় লুকিয়ে রাখে অভিযুক্তেরা। পুলিশি জেরায় সাগরিক নিজে মুখেই অপরাধ স্বীকার করেছে বলে দাবি পুলিশের। সাগরিকা ও তার প্রেমিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদিকে এই ঘটনায় হতবাক জয়নগরের রাজাপুর মণ্ডলপাড়া বাসিন্দারা। কোনও মা যে তাঁর সন্তানকে খুন করতে পারে, ভাবতেই পারছেন না তাঁরা।
[বাগনানে মিলল আজব মাকড়সা, ছড়াল ট্যারান্টুলা আতঙ্ক]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.