ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলার মাদ্রাসাগুলি থেকেই ছড়াচ্ছে সন্ত্রাসের জাল। সদ্য লোকসভায় এমনটাই বিস্ফোরক রিপোর্ট পেশ করেছে কেন্দ্র। এবার সেই রিপোর্টেই কার্যত সিলমোহর পড়ল। তদন্তে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের একটি বেআইনি মাদ্রাসা থেকেই সন্ত্রাসবাদের দীক্ষা নেয় ধৃত জেএমবি জঙ্গি আবদুল রহিম।
[আরও পড়ুন: এসটিএফ-এর জালে খাগড়াগড় বিস্ফোরণ অন্যতম অভিযুক্ত আবদুল রহিম]
পুলিশ সূত্রে খবর, বাংলায় জেহাদের বিষ ছড়াতে কয়েকদিন আগেই মহারাষ্ট্র থেকে পশ্চিমবঙ্গে ফিরে এসেছিল আবদুল। মুর্শিদাবাদ, বীরভুম ও বর্ধমান জুড়ে ‘স্লিপার সেল’ গড়ে তোলার চেষ্টা করছিল ধৃত জামাত-উল-মুজাহিদিন জঙ্গি। উল্লেখ্য, গত সোমবার বর্ধমানের কাটোয়া থেকে আবদুল রহিমকে গ্রেপ্তার করে লালবাজারের স্প্যাশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। জেএমবি-র ধুলিয়ান মডিউলের এই চাঁইকে গ্রেপ্তার করে জেরায় এই বিস্ফোরক তথ্য জেনেছেন গোয়েন্দারা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ২০১২ সালে মুর্শিদাবাদের ডোমকলে একটি বেআইনি মাদ্রাসায় যোগ দেয় রহিম। সেখানে মৌলানা ইউসুফের অধীনে জেহাদি প্রশিক্ষণ নেয় সে। তার পরের বছর শিমুলিয়া মাদ্রাসাতেও প্রশিক্ষণ নিয়েছিল সে। চোরাপথে নিয়মিত বাংলাদেশেও যাতায়াত ছিল রহিমের। সে সালাউদ্দিন নামে জেএমবি-র এক শীর্ষ নেতার ঘনিষ্ঠ। সালাউদ্দিন বাংলাদেশের কোনও গোপন ডেরায় রয়েছে বলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের সন্দেহ। বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের পরে আর এক জেএমবি জঙ্গি কওসরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে রহিমের। কওসরকে গ্রেপ্তার করার পরে জেরার সময় রহিমের নাম উঠে আসে।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই কলকাতা থেকে চার জামাত জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করে এসটিএফ। তাদের জেরা করতেই বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। গোয়েন্দারা জানতে পারেন, ‘দাওয়াত’-এর (ভোজ) মাধ্যমে বর্ধমানে সংখ্যালঘু যুবকদের জঙ্গি বানানোর চেষ্টা করছে বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন জেএমবি। ওই এলাকায় যুবকদের ভোজ খাইয়ে তারপর মগজধোলাই করে জেহাদের পথে যাওয়ার জন্য উসকানি দেওয়া হয়। এছাড়াও ওই সংগঠনে ক্রমশ বাড়ছে আল কায়দাপন্থী সন্ত্রাসবাদীদের প্রভাব। সব মিলিয়ে রহিমের গ্রেপ্তারিতে উঠে আসছে একের পর এক বিস্ফোরক।
[আরও পড়ুন: আলাদা জায়গায় মিলল ধড়-মুন্ডু, লোকাল ট্রেনে দেহাংশ উদ্ধারে ভাটপাড়া যোগ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.