Advertisement
Advertisement

রাজ্যে নতুন জঙ্গি মডিউল কি কদরের হাত ধরেই?

চলছে নেতা সালাউদ্দিনের তল্লাশি।

JMB regaining strength in Bengal

ছবি: প্রতীকী

Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:January 30, 2019 8:19 am
  • Updated:January 30, 2019 8:19 am  

অর্ণব আইচ: রাজ্যে নতুন মডিউল কি কদর কাজির হাত ধরেই গড়ে তোলার চেষ্টা হচ্ছিল? সেই কারণেই কি বেঙ্গালুরু থেকে বোমারু মিজান ওরফে কওসরের আগেই বেরিয়ে এসেছিল কদর? জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)-র জঙ্গি নেতা কদর কাজিকে জেরা করে এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। এনআইএ-র গোয়েন্দাদের ধারণা, ধৃত কদর কাজি জানে পলাতক বাংলাদেশি জেএমবি নেতা সালাউদ্দিন সালেহিনের হদিশ। কওসরকে জেরা করেও সালেহিনের হদিশ মেলেনি। কওসর জানিয়েছিল, বেঙ্গালুরুতে পৌঁছনোর পর সে ও সালাউদ্দিন আলাদা হয়ে যায়। কিন্তু সালাউদ্দিনের সঙ্গে পরবর্তীকালে কদরের যোগাযোগ ছিল, সেই সম্ভাবনা গোয়েন্দারা উড়িয়ে দিচ্ছেন না। তাই কদরকে জেরা করে সালাউদ্দিনের খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।

[বিগ বি-র কণ্ঠস্বর নকল করে কেবিসির নামে চলছিল লটারি প্রতারণা]

Advertisement

কয়েক মাস আগেই বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেপ্তার হয়েছিল জেএমবি নেতা তথা বাংলাদেশের বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ বোমারু মিজান ওরফে কওসর। তাকে জেরা করে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছিলেন গোয়েন্দারা। এবার সেই তথ্য অনুযায়ী কদর কাজিকেও জেরা করা হচ্ছে। কওসরকে জেরা করে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছিলেন, শিরদাঁড়া ভেঙে যাওয়ার পরও নতুন করে মডিউল তৈরির কাজে নেমেছে জেএমবি। ২০১৪ সালের পর ফের সালাউদ্দিন, বোমারু মিজান ওরফে কওসর, কদর কাজিরা মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান-সহ কয়েকটি জায়গায় নতুন করে জঙ্গি মডিউল তৈরি করে। তারা জঙ্গি সদস্য নিয়োগ করে তাদের চেন্নাইয়ে নিয়ে গিয়ে বিস্ফোরক তৈরির প্রশিক্ষণ দেয়। এই জঙ্গি কার্যকলাপের সময় মিজানের সঙ্গে ছিল কদর কাজিও। তাদের দিয়ে গত জানুয়ারিতে বুদ্ধগয়ায় বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা সেই মডিউলও ভেঙে ফেলে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছিলেন। কওসর ধরা পড়ার পর গোয়েন্দাদের জানায়, এর পরও তারা দমেনি। বৃহত্তর বাংলাদেশ তৈরির উদ্দেশে তৃতীয়বারের জন্য দু’টি জেলায় তারা মডিউল তৈরির কাজ শুরু করে।

কওসর দাবি করেছিল, সে বেঙ্গালুরুতে বসেই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এই নতুন মডিউলের কাজ দেখভাল করত। গোয়েন্দাদের কাছে খবর, জেএমবির শীর্ষনেতা সালাউদ্দিন সালেহিন নিজেই এই জেলাগুলিতে গিয়ে যুবকদের মগজধোলাই করতে শুরু করে। বোমারু মিজান তথা কওসরের শ্যালক হওয়ার কারণে কদর গাজি তার সঙ্গী সাজ্জাদ আলিকে নিয়ে বেঙ্গালুরুতে কওসর ও তার স্ত্রী জিন্নাতুরের কাছেই ছিল। গোয়েন্দাদের মতে, কদর সাজ্জাদকে নিয়ে বেঙ্গালুরু ছেড়ে এই রাজ্যে আসে দু’টি জেলায় নতুন মডিউল তৈরির কাজে। এমনকী, হুগলিতে গা-ঢাকা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা নতুন মডিউল তৈরির কাজ শুরু করেছিল, এমন সম্ভাবনাও গোয়েন্দারা উড়িয়ে দিচ্ছেন না।

[হাওড়ার স্কুলে ‘গণচুম্বন’ কাণ্ডে রিপোর্ট তলব মানবাধিকার কমিশনের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement