Advertisement
Advertisement

Breaking News

মুর্শিদাবাদে ফাঁস ভয়াবহ ষড়যন্ত্রের ছক, উদ্ধার প্রচুর বিস্ফোরক

'স্লিপার সেলের' সন্ধানে জোর তল্লাশি।

JMB men nabbed in Murshidabad, explosive cache recovered

ছবিটি প্রতীকী

Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:February 6, 2018 11:35 am
  • Updated:February 6, 2018 11:35 am  

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফরাক্কা: বুদ্ধগয়ায় বিস্ফোরণের জন্য বিস্ফোরক জোগাড়ের ব্যবস্থা করেছিল একজন। অপরজন নতুন কোনও নাশকতার জন্য জোগাড় করেছিল অস্ত্র, বুলেট ও বিস্ফোরক। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মুর্শিদাবাদের দু’টি আলাদা জায়গা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় নিও জামাত-উল-মুজাহিদিন (নিও জেএমবি)-এর দুই জঙ্গি। তাদের দু’জনের বাড়িই সামশেরগঞ্জের রতনপুরে। তাদের মধ্যে আজহার হোসেন ওরফে রুবেল নামে এক যুবকের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৭৫ রাউন্ড কার্তুজ, একটি আগ্নেয়াস্ত্র, ২৫ কেজি বিস্ফোরক ও বেশ কিছু জেহাদি বই। তাকে রতনপুর গ্রাম থেকেই পাকড়াও করে মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ। সে ধরা পড়ার পরপরই গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অন্য নিও জেএমবি সদস্য মহম্মদ আলি ওরফে কালুকে গ্রেপ্তার করে লালবাজারের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)।

[‘আরও ছেলে থাকলে সেনায় পাঠাতাম’, চোখে জল নিয়ে মন্তব্য শহিদ জননীর]

Advertisement

সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ ও মুর্শিদাবাদ থেকে এসটিএফ-এর হাতে ধরা পড়ে তিন জঙ্গি পয়গম্বর শেখ, জামিরুল ও শিস মহম্মদ। বুদ্ধগয়ায় বিস্ফোরণ ঘটানোর অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। তাদের জেরা করেই গোয়েন্দারা জানতে পারেন যে, মহম্মদ আলিই তাদের বিস্ফোরক ও আইইডি তৈরির জন্য জিনিসপত্র জোগাড় করার ব্যবস্থা করেছে। পেশায় ব্যবসায়ী মহম্মদ আলি কৃষি-সহ বিভিন্ন কাজের নাম করে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ও অন্য জিনিসগুলি জোগাড় করে। গোপন সূত্র খবর পেয়ে গোয়েন্দারা নিউ ফরাক্কা স্টেশনে ফাঁদ পাতেন। সেখান থেকেই গোয়েন্দাদের হাতে ধরা পড়ে মহম্মদ আলি। এদিকে, রতনপুর থেকে ধৃত রুবেল আসলে গাড়ির চালক। সে তার গাড়ি করেই পাচার করত এই অস্ত্র ও বিস্ফোরক। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সামশেরগঞ্জ থানার আধিকারিকরা তাকে ধরে ফেলেন। তাকে জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। তাকে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। দু’জনকে জেরা করে অন্য জঙ্গিদের সন্ধান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গে বড়সড় নাশকতা ঘটাতে পারে বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠনগুলি। অনেক আগেই এমন সতর্কবার্তা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বড়সড় নাশকতার জন্যই মুর্শিদাবাদে বিশাল পরিমাণের বিস্ফোরক মজুত করেছিল জঙ্গিরা। তবে শুধু এই রাজ্যেই নয়, ওই বিস্ফোরক পাচাহ্র হয়ে যেতে পারত ভারতের যেকোনও অংশে। অসম ও পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশ সীমান্ত হয়েই বিস্ফোরকগুলি রাজ্যে এসেছে বলে মনে করছেন তাঁরা। তাই একের পর এক গ্রেপ্তারিতে জঙ্গিদের নাশকতার ছক আপাতত ভেস্তে দেওয়া গিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

[লাভ জেহাদের ছায়া! রামপুরহাটে উদ্ধার যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement