সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) ও দলের বিরুদ্ধে ফের ‘বোমা’ ফাটালেন আসানসোল পুরসভার প্রশাসক জিতেন্দ্র তিওয়ারি। ‘দিদি’র প্রতি আস্থা জ্ঞাপন করলেও দলের কিছু নেতার বিরুদ্ধে বুধবারও বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি। যা জেলা জুড়ে প্রবল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
বুধবার দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার একটি বেসরকারি কারখানার সামনে আইএনটিটিইউসি’র (INTTUC) উদ্যোগে শ্রমিক সমাবেশে যোগ দেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। সেখানেই দলের কলকাতার নেতাদের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন বিধায়ক। আসানসোল পুরসভা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে নিশানা করে তিনি বলেন, “যিনি কলকাতাকে মিনি পাকিস্তান করবেন বলেছিলেন তার কথা শুনে দল করব না। তার ভাইও হতে চাই না। ভাই বললে আবার ভাগ চাইবে!” স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “দলকে সামনে রেখে যারা ব্যাংকের ব্যালেন্স বাড়ান তাঁদের কথা শুনব না।”
এদিন জিতেন্দ্র তিওয়ারি জানান, আপাতত তাকে মিটিংয়ে যেতে বারণ করা হয়েছে। বলেন, “কাল রাতে আমাকে মেসেজ করে ১৮ তারিখ পর্যন্ত দলীয় মিছিল মিটিং যেতে বারণ করা হয়েছে। অপরাধ কী জানি না। যদি জেলা সভাপতির পদ ছাড়তে হয়, ২ মিনিটে ছেড়ে দেব। আসানসোলের প্রশাসক-সহ বিধায়ক পদও ছেড়ে দেব। তবে মানুষের সঙ্গে থাকব।” উল্লেখযোগ্যভাবে এদিন শুভেন্দু অধিকারী প্রসঙ্গ টেনে জিতেন্দ্র বলেন, “দলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পর যদি কেউ জনপ্রিয় নেতা থাকেন, তিনি শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সঙ্গে বসে আলোচনা করে ক্ষোভ মেটান দরকার ছিল।”
ফিরহাদ হাকিম ও শুভেন্দু অধিকারীর তুলনা টেনে তিনি দাবি করেন, “দলে শুভেন্দুর অবদান অনেক বেশি।” বলেন, যাদের বিরুদ্ধে মানুষ ও কর্মীদের ক্ষোভ আছে তাঁদের সরিয়ে দিলেই দলের ভাবমূর্তি ভাল হবে। কলকাতার নেতাদের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ নেই। জিতেন্দ্র তিওয়ারির সাফ কথা, “দিদির সঙ্গে থাকতে চাই, তবে দিদির পরে যারা আছে তাঁদের দলদাস হয়ে নয়।” এই চাপানউতোরের মাঝে তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্য জন্ম দিয়েছে নতুন জল্পনার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.