সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলায় বিপুল পরিমাণ কার্তুজ ও অস্ত্র উদ্ধার হয়েছিল। রাজ্য পুলিশের এসটিএফ সেই ঘটনার তদন্ত করছে। সেই সূত্র ধরে এবার তদন্তকারীরা হানা দিলেন উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদে। সেখানকার মাছের ভেড়ি থেকে উদ্ধার হল একটি বন্দুক। ঘটনায় আরও এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হল। কার্তুজ কাণ্ডের সঙ্গে মাছপাচারের কি কোনও যোগ রয়েছে? সেই প্রশ্নও উঠছে।
রবিবার রাতে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের একটি দল হাসনাবাদের মুরারিশাহ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় হানা দেয়। আবদুল সেলিম গাজি ওরফে বাবলু নামে এক ব্যক্তিকে পাকড়াও করে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। তারপর তাঁকে নিয়েই অস্ত্রের খোঁজে এলাকারই একটি মাছের ভেড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। সেখান থেকেই উদ্ধার হল একটি ডবল ব্যারেল বন্দুক।
জীবনতলা অস্ত্র-কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে বিবাদী বাগের অস্ত্রের দোকানের। সেখান থেকে কার্তুজ বাইরে চলে যেত। সেই বিষয়টি তদন্তের মাধ্যমে উঠে এসেছে। ওই দোকানেরই কর্মী শান্তনু সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়। জেরায় তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, শান্তনু সরকার আবদুল সেলিম গাজিকে একটি অস্ত্র বিক্রি করেছিলেন। এরপর শান্তনু ও আরও একজনকে সঙ্গে নিয়েই এসটিএফ গতকাল রাতে হানা দেয়। এখনও অবধি এই তদন্তে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হল। আগেই ১৯০ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার হয়েছিল। হাসনাবাদের ওই ব্যক্তি কেন বন্দুক নিয়েছিলেন? তিনিও কি এই অস্ত্র কারবারিদের সঙ্গে যুক্ত? সেসব বিষয় খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
জীবনতলায় কার্তুজ উদ্ধারে স্ক্যানারে বিবাদী বাগের লাইসেন্সপ্রাপ্ত বন্দুকের দোকান। তদন্তকারীদের সন্দেহ, ওই দোকান থেকে কার্তুজ পাচার করা হয়েছে। বেশ কিছু রেজিস্টার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। দোকানটিকেও সিল করে দিয়েছেন তদন্তকারীরা। শেষ পাঁচ বছরের স্টক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দোকানের মালিককেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। চলতি মাসে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলায় হাজি রশিদ মোল্লার বাড়িতে হানা দিয়েছিলেন এসটিএফের তদন্তকারীরা। সেখান থেকে ওই বিপুল পরিমাণ কার্তুজ উদ্ধার হয়। বাড়ির মালিক-সহ আরও তিন ব্যক্তিকে ঘটনাস্থল থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়। বাকিরা হলেন হাসনাবাদের বাসিন্দা বছর চল্লিশের আশিক ইকবাল গাজি, পঁয়তাল্লিশ বছরের আবদুল সেলিম গাজি ও শান্তিপুরের জয়ন্ত দত্ত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.