চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: ঘরের দরজা-জানলা সব বন্ধ। ভিতরে টেপ রেকর্ডারে চলছে মাধুরি দীক্ষিতের জনপ্রিয় গান ‘চোলি কে পিছে কিয়া হ্যায়’। আর সেই গানেই অশ্লীল নাচে মত্ত এক মহিলা। তাঁর পরনে লাল রঙের বিকিনি। আর সেই চটুল নাচ উপভোগ করছেন এক পুলিশ আধিকারিক। এমন দৃশ্যের ভিডিও ভাইরাল হতেই সাসপেন্ড করা হল ওই ওসিকে।
ভিডিওটি দেখে মনে করা হচ্ছে, এটি কুলটি থানার অন্তর্গত সীতারামপুরের বাইজিপল্লি এলাকার ঘটনা। সেখানেই কোনও যৌনকর্মীর ঘরে হাজির ওসি নন্দকিশোর সিং। তবে তিনি একা নন। ভিডিওতে আরও এক ব্যক্তিকে দেখা গিয়েছে। স্বল্পবসনা মহিলার সঙ্গে বেশ সাবলীলভাবেই নাচছেন নন্দকিশোর। মহিলাকে আবার ওড়না পরিয়ে দিতে সাহায্য করছেন আরেক ব্যক্তি। অশ্লীলভাবে ওসির যৌনাঙ্গেও একবার হাত দিলেন তিনি। আনন্দে আত্মহারা নন্দকিশোরও মহিলার শরীরী হিল্লোলে মেতে কোমর দোলাচ্ছেন। সবমিলিয়ে জলসা ভালই জমে উঠেছে। কিন্তু ভিডিওটি ভাইরাল হতেই সমস্যায় পড়তে হল নন্দকিশোরকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় ধানবাদ ও আসানসোলে। খবর গিয়ে পৌঁছায় ধানবাদের এসপি কিশোর কৌশলের কানেও। এরপরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর করেন তিনি। এবং এমন ঘটনার জন্য সাসপেন্ড করা হয় নন্দকিশোরকে। পাশাপাশি তদন্তের জন্য তৈরি হয়েছে একটি বিভাগীয় কমিটিও।
ধানবাদের মহুদা থানার ওসি নন্দকিশোর সিং গোটা ঘটনার সত্যতা স্বীকারও করে নিয়েছেন। তবে তাঁর দাবি, ভিডিওটি এখনকার নয়। গতবছর তিনি মাইথনের ফাঁড়ির ইনচার্জ ছিলেন। ১৬ আগস্ট ২০১৮ সালে এই ঘটনাটি ঘটেছিল। তিনি একা নন, সেসময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন অন্যান্য সহকর্মী তথা পুলিশও। সম্প্রতি পদোন্নতি হয়ে মহুদা থানায় এসেছেন তিনি। নন্দকিশোরের স্বীকারোক্তির পর মনে করা হচ্ছে, তাঁরই কোনও বন্ধু হিংসার জেরে সম্প্রতি ভিডিওটি নেটদুনিয়ায় ভাইরাল করে দিয়েছেন। কিন্তু এমন ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। আর সেই কারণেই সাসপেন্ড করা হয়েছে তাঁকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.