সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: পড়াশোনা করতে গিয়েও বিপদের মুখে ছোট পড়ুয়ারা। ক্লাস চলাকালীন স্কুলের মেঝে গেল ধসে, প্রায় একহাত গভীর গর্তে পড়ে গেল চার পড়ুয়া! ঝাড়গ্রামের (Jhargram) নয়াগ্রামের এই ঘটনায় সঙ্গে সঙ্গে ওই চারজনকে উদ্ধার করা হলেও ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে পড়ুয়া ও অভিভাবক মহলে। দুর্ঘটনা নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে এক শিক্ষকের কথায়, স্কুলের পাশে নদী থাকায় টানা বৃষ্টিতে তার জলস্তর বৃদ্ধি পেয়ে স্কুলের মাটি, দেওয়াল নরম হয়ে ধসে পড়েছে। তবে বিপদ কেটেও গিয়েছে বলে দাবি তাঁর।
নয়াগ্রাম ব্লকের নিচু পাতিনা প্রাথমিক বিদ্যালয়। অন্যান্য দিনের মতো বুধবারও এখানে ক্লাস চলছিল। এক শ্রেণিকক্ষে (Classroom) পড়াশোনা করছিল চতুর্থ ও প্রথম শ্রেণির পড়ুয়ারা। সাড়ে ১১টা নাগাদ আচমকা সেই ক্লাসের মেঝেতে ধস নামে। প্রথম বেঞ্চের চার পড়ুয়া পড়ে যায় প্রায় একহাত গভীর গর্তে! সঙ্গে সঙ্গে তীব্র আতঙ্ক ছড়ায় গোটা স্কুলে (School)। শিক্ষকরা ছুটে গিয়ে উদ্ধারকাজে হাত লাগান। চার পড়ুয়াকে উদ্ধার করা হয় গর্ত থেকে। তাদের কারওরই খুব বেশি আঘাত লাগেনি বলে স্কুল সূত্রে খবর। ধসের কবলে পড়া চার পড়ুয়ার মধ্যে একজন প্রথম শ্রেণির। সে স্বভাবতই প্রচণ্ড ভয় পেয়ে কান্নাকাটি শুরু করে। তবে শিক্ষকরা পরিস্থিতি সামাল দেন।
এ বিষয়ে স্কুলের এক শিক্ষক অপু ঘোষের বক্তব্য, ”এই স্কুলটা ১০, ১৫ বছরের পুরনো। পাশে নদী বয়ে গিয়েছে। বর্ষায় জলস্ফীতিতে স্কুলের দেওয়াল সম্ভবত ক্ষয়ে গিয়েছে। হয়ত মেঝেটাও নরম হয়ে গিয়েছে। সেই কারণে এমন দুর্ঘটনা (Accident)ঘটল। ক্লাস করতে করতে আচমকা মেঝে ধসে ৪ জন পড়ুয়া পড়ে গিয়েছিল। তবে তাদের কারও বিশেষ লাগেনি।” এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে পড়ুয়া ও অভিভাবকদের মধ্যে। প্রশ্ন উঠছে, ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা শেখার জন্য তাঁরা স্কুলে পাঠান। সেখানেও যদি এমন দুর্ঘটনা ঘটে থাকে, সন্তানদের জীবনের ঝুঁকি থাকে, তাহলে আর কোন ভরসায় স্কুলে পাঠাবেন?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.