সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: আদালতের নির্দেশমতো নির্ধারিত দিনেই মিটল পুরুলিয়ার (Purulia) ঝালদা পুরসভার আস্থা ভোট। শনিবার সেই আস্থা ভোটে জয়ী হয়ে নতুন চেয়ারম্যান হলেন প্রাক্তন সুরেশ আগরওয়াল। এদিন ৬ জন অংশগ্রহণ করেন ভোট প্রক্রিয়ায়। সর্বসম্মতিক্রমে সুরেশ আগওয়ালকেই চেয়ারম্যান (Chairman) পদে নির্বাচিত করেন। চেয়ারম্যান হওয়ার পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সুরেশ আগরওয়াল জানান, কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta HC) নির্দেশ মেনে শনিবার আস্থা ভোট হয়েছে এবং তিনিই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। শপথ পরে নেবেন। এদিনের নির্বাচনে গরহাজির ছিলেন প্রাক্তন পুরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্যায়।
ঝালদা পুরসভার (Jhalda Municipality) জটিলতা দীর্ঘদিনের। দলবদলের সমীকরণে বার বার এখানকার বোর্ড তৈরি হয়েও ভেঙে যায়। চলতি মাসের ১৭ জানুয়ারি ঝালদা পুরসভায় তৃণমূলের (TMC) পুরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্যায়কে অপসারিত করেন দলের পাঁচ ও কংগ্রেসের দুই কাউন্সিলর মিলিয়ে মোট সাতজন। কংগ্রেস ও শাসক দল তৃণমূলের অলিখিত জোটের সাত-শূন্য ভোটে অপসারিত হন তিনি। যা নিয়ে ঝালদার রাজনৈতিক মহলে ঝড় ওঠে। অভিযোগ, পুরপ্রধান অপসারিত হওয়ার পরেও চেয়ার আঁকড়ে বসেছিলেন শীলা চট্টোপাধ্যায়। যে তলবি সভায় তাঁকে অপসারিত করা হয় সেই সভাকে তিনি বৈধ বলে মনে করেন না। তাঁর যুক্তি, ওই সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার আগেই তিনি বিজ্ঞপ্তি জারি করে ২৭ জানুয়ারি তলবি সভার বৈঠক ডেকেছিলেন। কিন্তু সেই বিজ্ঞপ্তির আমল না দিয়ে তলবি সভা হয়। শেষমেশ হাই কোর্টের নির্দেশে ৩ ফেব্রুয়ারি আস্থা ভোট এবং নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচন।
এদিন নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের সঙ্গে ছিলেন ৫ কাউন্সিলর – বিপ্লব কয়াল, জবা মাছোয়াড়, সুদীপ কর্মকার, পূর্ণিমা বাগদি, রিজওয়ানা খাতুন। তাঁদের সমর্থনেই এদিন পুরপ্রধান হন সুরেশ আগরওয়াল। এর আগে সুরেশ আগরওয়ালকে দলীয় হুইপ অমান্য করায় তাঁকে সরানো হয়েছিল। এবার ফের ঝালদা পুরসভা কংগ্রেসের দখলে গেল।
<[আরও পড়ুন: ইনস্টাগ্রামে আলাপ, তরুণীর খাবারে মাদক মিশিয়ে গণধর্ষণ ‘বন্ধু’র!]
এনিয়ে পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, ”ঝালদার বিষয়টি নিয়ে আমরা দলীয় স্তরে আলোচনা করছি। প্রত্যেক কাউন্সিলরকে হুইপ জারি করা হয়েছিল। তা কারা মানেননি, দেখতে হবে।”
ভিডিও দেখুন:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.