Advertisement
Advertisement

Breaking News

ধ্বংসের মুখে জয়দেব কেঁদুলির মন্দির, বসে যাচ্ছে মাটিতে

ক্ষয়ে যাচ্ছে জয়দেব মন্দির৷ ফাটল ধরেছে মন্দিরের কাঠামোয়৷ ইটের মধ্যে ফাঁক দেখা দিয়েছে৷ বিলুপ্ত হয়েছে অনেক স্মারক৷

Jaydev Kenduli Temple Is In Danger, Need Urgent Repairing
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:November 8, 2016 10:45 am
  • Updated:November 8, 2016 10:45 am  

নন্দন দত্ত: ক্ষয়ে যাচ্ছে জয়দেব মন্দির৷ ফাটল ধরেছে মন্দিরের কাঠামোয়৷ ইটের মধ্যে ফাঁক দেখা দিয়েছে৷ বিলুপ্ত হয়েছে অনেক স্মারক৷ মন্দিরের কাঠামো এমন অবস্থায় যে, যে কোনও সময় তা বসে যেতে পারে৷ পুরাতত্ত্ব বিভাগের মান্যতাপ্রাপ্ত সংস্থার সমীক্ষায় এমনই তথ্য উঠে এসেছে৷ উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জয়দেব কেন্দুলিতে বাউল আকাদেমি করার উদ্যোগ নিয়েছেন৷ তারপরেই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জয়দেব মন্দিরের সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়৷ জেলাশাসক পি মোহন গান্ধী বলেন, “পুরাতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে দিয়ে সমীক্ষা করে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে৷ কারণ বীরভূমের পরিচয় বহন করে জয়দেব-পদ্মাবতীর ওই মন্দির৷” সমীক্ষক সংস্থার প্রধান অরুণেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মন্দিরের এখনই সংস্কার না করা হলে যে কোনও সময় এমন অনুপম স্থাপত্য বসে যেতে পারে৷
অজয় নদের তীরে ৩৩৩ বছর আগে বর্ধমানের মহারাজা কীর্তিচাঁদ বাহাদুর জয়দেব মন্দির নির্মাণ করেন৷ কিন্তু তারপরে তেমন করে মন্দিরের বৈজ্ঞানিকভাবে সংস্কারে উদ্যোগ নেওয়া হয়নি৷ পাশাপাশি মন্দিরের পাশ দিয়ে ভারী যানবাহন যাওয়ায় তার কম্পনে মন্দিরের কাঠামোর অনেক ক্ষতি হয়েছে৷ সমীক্ষক সংস্থা জয়দেব মন্দিরের সমীক্ষা চালাতে গিয়ে মন্দিরের এমন করুণ অবস্থা দেখল৷ একইসঙ্গে ভিতরে দুটি সিঁড়ি দেখতে পেলেন তাঁরা৷ এতদিন যা অনেকেই জানতেন না বলে তাঁদের রিপোর্টে উল্লেখ করতে চলেছেন৷ যে সিঁড়ি দিয়ে ভিতরে থেকে তিনটি ধাপে মন্দিরের মধ্যভাগে পৌঁছনো যাবে৷ সেখানেই চারটি কোণ তৈরি করা হয়েছে৷ সেখান থেকেই আরও একটি ধাপ দিয়ে মন্দিরের চতুর্বর্গের রেখ শিখরে পৌঁছনো যাবে৷ সমীক্ষকরা জানান, যেটা তাঁদের কাছে বেশ আকর্ষণের৷
সমীক্ষায় তাঁরা উল্লেখ করেছেন নবরত্নের আখ্যান ভাগে মন্দিরটির নির্মাণ করা হয়েছে৷ অজয়ের দিকে দক্ষিণমুখী বিগ্রহ৷ গর্ভগৃহে দরজার কলভাবে একটি প্রস্তর আছে৷ সমীক্ষকদের মতে এই পাথর থেকেই ইতিহাসের সুস্পষ্ট চিহ্ন লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷ ১৬৮৩ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত এমন মন্দির সারা বাংলায় এখন বিরল৷ জেলা প্রশাসন এর সংস্কারে উদ্যোগ নেওয়ায় মন্দিরটি আরও বহুকাল বাঁচানো যাবে বলে তাঁদের আশা৷
উল্লেখ্য, বীরভূমের পরিচয় বহন করে সহজিয়া সাধন ক্ষেত্র জয়দেবের ওই মন্দির৷ গবেষকদের কথায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও মরমিয়া কবি জয়দেবের প্রভাবে অনেক রচনা করেছেন৷ সমীক্ষকরা জানান, যেহেতু জয়দেব সহজিয়া সাধক ছিলেন তাই ওই মন্দিরে কাঠামো ও স্থাপত্যে সমন্বয়ের চিহ্নস্পষ্ট৷ মন্দিরে যেমন রামায়ণ মহাভারতের আখ্যান আছে, তেমন বিষ্ণুর দশাবতার থেকে দৈনন্দিন জীবনের ছবি আছে৷ যেগুলি ইতিহাস রক্ষায় খুব জরুরি৷ আগামী ১৫ তারিখের মধ্যেই সমীক্ষক সংস্থা তাদের প্রাথমিক রিপোর্ট জেলাশাসকের কাছে জমা দেবে৷ চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা পড়বে এই মাসেই৷ তারপরেই সংস্কারের কাজ শুরু হবে৷

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement