সুপর্ণা মজুমদার: সুন্দরী জয়ন্তী৷ পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে৷ আর এই পর্যটনকে আঁকড়ে ধরেই গড়ে উঠেছে কিছু জীবন৷ সাধাসিধে সরল এক জীবনযাত্রা জীবন৷ ন্যূনতম চাহিদাও বেশ কম৷ চাই শুধু বেঁচে থাকার কিছু রসদ৷ তালিকায় সবার উপরে জল৷ পানীয় জল৷ হ্যাঁ, এটা সত্যি যে জয়ন্তী নদীতে স্ফটিক স্বচ্ছ জলের খামতি নেই৷ কিন্তু তা পানের ততটা যোগ্য নয়৷ কারণ এতে মিশে রয়েছে সালফারের মতো খনিজ৷ সেই সঙ্গে বাড়তি পাওনা অযাচিত কিছু আবর্জনা৷ যা প্রতিদিনই ফেলে যান জয়ন্তী দর্শনে আসা মানুষজন৷
তাহলে পানীয় জলের ব্যবস্থা কী একেবারে নেই? আছে, সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছিল সরকার৷ পাইপলাইনে করে গ্রামের মানুষকে সরবরাহ করা হত সেই পানীয় জল৷ কিন্তু গত বছরের বর্যায় জলের তোড়ে নষ্ট হয়ে যায় পাইপের কিছুটা অংশ৷ ফল, সেই পানের অযোগ্য জলই পাচ্ছেন এলাকাবাসী৷ যারা অধিকাংশই শ্রমিকশ্রেণি আর বাড়িতে জল পরিশোধনের তেমন কোনও ব্যবস্থাও নেই৷ হ্যাঁ, এও ঠিক যে গত বর্ষায় পাইপ সারাতে এসেছিলেন পাবলিক হেলথ ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কর্মীরা৷ কিন্তু বৃষ্টির কারণে কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে বলে বর্ষা শেষ হলেই পাইপলাইন সারাবার আশ্বাস দিয়েছিলেন তাঁরা৷ বছর পেরিয়ে গেল৷ শীত পেরিয়ে গ্রীস্ম আসন্ন৷ তারপরই বর্ষার পালা৷ কিন্তু পাইপলাইন এখনও সারেনি৷ ফল ভুগতে হচ্ছে জয়ন্তীবাসীকে৷ নিয়মিত পেটের রোগে ভুগছেন বাসিন্দারা৷ বিশেষ করে শিশুরা৷ আর পাহাড়ে হাসপাতাল পরিষেবাও খুব একটা কাছে নয়৷ তাই বেশিরভাগ সময় সঠিক চিকিৎসাও মেলে না৷
শীতকালটা কোনওভাবে কেটে গিয়েছে৷ কিন্তু এবার গ্রীস্ম আর বর্ষার পালা৷ সাধারণ মানুষের মনে একটাই প্রশ্ন, এই বর্ষায় কী পরিশুদ্ধ জল পাওয়া যাবে তেষ্টা মেটানোর জন্য?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.