দীপঙ্কর মণ্ডল: পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার পদে যোগ দিতে চলেছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন রাজ্য সভানেত্রী জয়া দত্ত। তাঁর নিয়োগের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই বির্তক শুরু হয়েছে সবমহলে। সরকারের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগে সুর চড়িয়েছেন বিরোধীরা।
হাবড়ার নেতাজি শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রী জয়া দত্ত কলেজে জীবনের শুরুতেই সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ে। অতি অল্প সময়ের মধ্যেই ছাত্র পরিষদের মুখ হয়ে ওঠেন। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপদের দায়িত্বও পান। কিন্তু তিনি সভানেত্রী থাকাকালীনই কলেজের ভর্তি-চক্রে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠতে শুরু করে। গোটা ঘটনায় জয়া দত্ত সরাসরি যুক্ত, এমন অভিযোগও ওঠে। এছাড়াও একাধিক অভিযোগ উঠতে শুরু করে তাঁর বিরুদ্ধে। দানা বাঁধে বিতর্ক। এই পরিস্থিতিতে কার্যত বাধ্য হয়েই জয়া দত্তকে পদ থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী। পদচ্যুত হলেও দলের সঙ্গেই ছিলেন তিনি।
সেই ঘটনার পর জয়া দত্তের চাকরির খবর প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে কানাঘুষো। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে সহকারী রেজিস্ট্রার নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। ২০ তারিখ ইন্টারভিউ হয়। এরপরই প্রকাশ্যে আসে যে ওই পদে যোগ দেবেন ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন সভানেত্রী জয়া দত্ত। অভিযোগ ওঠে, একাধিক যোগ্য ব্যক্তি আবেদন করা সত্ত্বেও স্বজনপোষণের রাজনীতির কারণেই এই সুযোগ মিলেছে তৃণমূল নেত্রীর। এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে জয়া দত্ত জানান, “আমি আবেদন করেছিলাম। ইন্টারভিউ দিয়েছি। এখনও নিয়োগপত্র হাতে পাইনি।” যদিও সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, চলতি মাসের ২৪ তারিখই কাজে যোগ দেবেন তিনি। বিরোধীদের কথায়, আনুগত্যের মূল্যই পেয়েছেন জয়া।
শুধু জয়া দত্তই নন, ছাত্র পরিষদের আরও ২ নেতা দু’টি পৃথক বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিচ্ছেন বলে সূত্রের খবর। তৃণমূল কর্মী হলেই মেলে সরকারি চাকরি, আগেও একাধিকবার এই অভিযোগ তুলেছিলেন বিরোধীরা। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই জোরাল হল সেই অভিযোগ। তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন অনেকে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে কর্মীদের খুশি করতেই এই পদক্ষেপ, এমনটাই মনে করছে বিরোধী শিবির।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.